সারাদিন রোজা রাখার পর মুখে দুর্গন্ধ হয়। দীর্ঘ সময় ব্রাশ না করার কারণে দুর্গন্ধ আরও বেড়ে যায়। তাছাড়া মুখের ভেতর ইনফেকশনও হতে পারে। এই দুর্গন্ধ হওয়ার পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে। যেমন দীর্ঘসময় না খেয়ে থা𒀰কা, মুখে লালা ক্ষরণ কমে যাওয়াসহ বেশ কয়েকটি কারণে দুর্গন্ধ বেড়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, রোজা রেখে আমরা অনেকটা সময় কিছুই খাওয়া খাই না। তাই এই সময় মুখে লালা নিঃসরণের পরিমাণ কমে যায়। অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে দাঁত ও মাড়িতে এক ধরনের সাদা আবরণ পড়ে। এই আবরণের মাঝে ব্যাক্টেরিয়া জমে এবং দ্রুত বংশ বিস্তার করে।𝓡 লালাও কমে যায়। এতে দুর্গন্ধ বেড়ে যায়। তাছাড়া রোজা রেখে ভাজাপোড়া খাবার বেশি খাওয়া হলেও দুর্গন্ধ ব🅺াড়তে পারে।
রোজার সময় খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে মুখে গন্ধ হওয়া থেকে প্রতিকার পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞরা জানান, ইফতার ও সাহরিতে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে নিলে মুখের দুর্গন্ধ কমে যাবে। ইফতারে বেশি তেল, মসলা যুক্ত অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার কম খেতে হবে। দেশিয় ফল বেশি খেতে হবে। পেয়ারা, তরম🔜ুজ, শসা বেশি করে খাꦿওয়া যাবে। তাছাড়া প্রচুর পানি পান করতে হবে। এতে মুখের ভেতরে লালা ক্ষরণ বাড়বে এবং দুর্গন্ধ কমবে।
রোজায় পানিশূন্যতা দেখা দেয় যা থেকে দুর্গন্ধ হয়। তাই ইফতারের পর থেকে সাহরি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও ইফতার করার এক ঘণ্টা পর এবং সেহরি শেষে টুথপেস্ট ও টুথব্রাশ দিয়ে ভালোকরে দাঁত ও মুখের ভেতরে ব্রাশ করে নিতে হবে। দাঁতের মাঝে জমে থাকা🌟 খাবার পরিস্কার করা হলে মুখের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের মুখে বেশি দুর্গন্ধ হতে পারে। এক্ষেত্রে কুসুম-গরম পানিতে এক চিমটি লবণ দিয়ে তারা নিয়মিত কুলিকুচি করলে দুর্গন্ধ কমে 🦩যাবে বলে জানান বিশে🐎ষজ্ঞরা।