পূজায় উৎসবে নিজেকে কীভাবে সেরা করে তোলা যায় সেই চেষ্টাই থাকে সবার। ত্বক, চুল আর শরীরের যত্ন শুরু হয়েছে পূজা শুরুর কয়েকদিন আগ থেকেই। এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শেষ মুহূর্তে নিজেকে আরও একবার ঝালাই করে নেওয়া। বিশেষ করে যারা সဣব সামলাতে গিয়ে নিজের যত্ন নেওয়ার সময়ই পাননি তাদের জন্য ক🌼িছু পরামর্শ থাকছে। কীভাবে সব কাজের মাঝেও নিজেকে সেরা দেখাবেন তার কিছু উপায় রয়েছে। তবে ঘরে হলও নিজেকে কিছুটা সময় তো দিতে হবেই। ত্বক ভেতর থেকে সুন্দর থাকলেই আর মেকআপ লাগবে না। বরং ন্যাচারালভাবেই আপনার সৌন্দর্য্য সবার নজর কাড়বে। আবার পূজার আগেই চুলের যত্নের কথা ভুলে গেলেও চলবে না। পাশাপাশি শরীরের দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। তাই পূজায় নিজেকে ভেতরে ও বাইরে থেকে সেরা দেখাতে কিছু উপায় জেনে নিন।
পূজায় সাজগোজ বেশি করা হয়। যা ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এই সময় ত্বকের যত্ন অত্যন্ত জরুরি। সম্ভব হলে ভারী মেকআপ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। প্রতিদিন সহজ স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলুন। ডাবল ক্লিনজিং, এক্সফোলিয়েটিং ও ময়েশ্চারাইজিং করুন। মেকআপের আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেস ম⛦াস্ক ব্যবহ💜ার করুন। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে বেশি করে পানি পান করাও জরুরি।
ত্বক ও শরীর ভালো রাখতে খাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত রাত জেগে থাকা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সঠিক সময়ে ঘুম ও সকౠালে সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। ঘুমের ব্যাঘাত হলে সারাদিন ক্লান্ত লাগবে আর ত্বকও প্রাণহীন দেখাবে।
পূজার সময় চুলের দিকেও যত্নশীল হতে হবে। চুলের ধরণ অনুযায়ী প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে চুলের যত্ন নিতে পারেন। চুল বেশি রুক্ষ হয়ে গেলে অ্যালোভেরার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। চুল তৈলাক্ত হলে নিয়মিত শ্যা🐷ম্পু করতে ভুলবেন না। চুল কোঁকড়ানো বা রুক্ষ হলে ꦛকন্ডিশনার ব্যবহার করতেই হবে। এছাড়াও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ওমেগা ৩, প্রোটিন, বায়োটিন ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
পূজায় শরীরের উপর বেশ ধকল যায়। তাই শরীরকে সতেজ রাখতে আগেই সতর্ক হতে হবে। এই সময় অনেক ধরণের খাওয়া দাওয়া হয়। ঘরে-বাইরে খাবারের বিশাল আয়োজন থাকে। যা থেকে নিজেকে সামলানো একটু কঠিন। বিশেষ পদগুলো মন ভরে না খেলে কি আর হয়। তাই পূজার আগꦆেই শরীরকে ফিট রাখুন। এ🥃র জন্য অতিরিক্ত মিষ্টি ও চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। চেষ্টা করবেন, ঘরের খাবার খাওয়ার। বাইরের খাবারকে এড়িয়ে চলুন। হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। শরীর ফিট থাকলে মনও ভালো থাকবে। পূজার আনন্দ দ্বিগুণ হবে।