সন্তান গর্ভধারণের সময়টা প্রত্যেক নারীর কাছেই বিশেষ মুহূর্ত। প্রত🐼িটি মুহূর্তই উপভোগ করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। গর্ভবতী অবস্থায় মন ভালো রাখার জন্য় নিয়মিত রূপচর্চাও করতে বলেন। তবে রূপচর্চার জন্য কিছু বিশেষ সতর্কতা মানতে হবে। এমন সব উপকরণ ব্যবহার করতে হবে যা স্বাস্থ্যঝুঁকি না হয়। বিশেষ করে যে কোনও স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে সতর্ক থা🔥কতে হবে। প্রসাধনীতে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান থাকে যা গর্ভবতী মায়ের জন্য় নিরাপদ নয়। চলুন জেনে নেই কোন প্রসাধনীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।
রেটিনয়েডস
বিউটি ওয়ার্লডে এখন বেশ জনপ্রিয় রেটিনয়েডস। কিন্তু গর্ভাবস্থায় এই উপাদান ত্বকে না ব্যবহার করা যাবে না। গবেষণায় দেখা গেছে, রেটিনয়েড গর্ভের শিশুর উপরে ক্ষতিকারক🍷 প্রভাব ফেলে। এটি শি🃏শুর মস্তিষ্ক গঠনেও বাধা দিতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় রেটিনয়েড ক্রিম বা সিরাম ব্যবহার করা যাবে না।
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ত্বকের ব্রণ ও প্রদাহ কমাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, গর্ভাবস্থায় এটি ব্যবহার নিরাপদ নাও হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত মাত্রায় স্যালিসাইলিক অ্যাসিড শরীরে প্রবে✃শ করলে তা হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। গর্ভাবস্থায় স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সিরাম ব্যবহার করলে অনাগত শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
প্যারাবেন
বাজারে ভালো স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট✃ে এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয়। এটি গর্ভের শিশুর শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় প্যারাবেন বেসড কোনও ক্রিম কিংবা সিরাম ব্যবহার করা যাবে না।
কেমিক্যাল সানস্ক্রিন
রোদের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু গর্ভাবস্থায় সানস্ক্রিন ব্যবহার না করাই ভালো। গবেষণায় জানা 𒁏গেছে, সানস্ক্রিনে বেনজোফেনন, অক্সিবেনজন এবং অ্যাভোবেনজনের মতো রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। যা শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ফর্মালডিহাইড
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় নারীর শরীরে ফর্মালডিহাইড রাসায়নি🧔ক ক্ষতিকারক হয়ে উঠে। শুধু তাই নয়, এটি গর্ভপাতের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়। তাই এই ধরণের স্কিনকেয়ার প্রডাক্ট ব্যবহার না করাই ভালো।