বর্তমান সময়ে চুলে রং করা ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে। স্কুল পড়ুয়া তরুণী থেকে বয়স্ক নারীরাও চুলে রং করছেন নিচ্ছেন। বয়স বাড়লে চুলে পাক ধরে। এই সময় তো চুলে রং করে নেওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তরুণীরাও এখন চুলের রং করে হেয়ার স্টাইল করতে পছন্দ করে। চুলে রং করার আগে অনেকেই বোঝে না কেমনটা মানাবে। সঠিক রং বাছাই না করতে পারলে পুরো সৌন্দর্যই ভেস্তে যাবে। কেননা চুলের রঙ এবং মুখের গড়নের মধ্যে সমন্বয় করতে পারলে সৌন্দর্য বাড়ে। এমনকি ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে এবং আভিজাত্য প্রকাশ পায়। চুলের রঙ নির্বাচন করার সময় মুখের ✃গড়ন, ত্বকের রং, চোখের রং এবং ব্যক্তিগত স্টাইলকে বিবেচনায় নেওয়া জরুরি। তাই কোন মুখের গড়নের জন্য উপযুক্ত চুলের রং কেমন হবে তা নিয়েই আলোচনা থাকছে এই আয়োজনে।
চুলের রঙ নির্বাচন করার সময় মুখের গড়নের পাশাপাশি ব্⛄যক্তিগত পছন্দ, ফ্যাশন, এবং ত্বকের রঙের দিকেও মনোযোগ দেওয়া🅘 উচিত। মুখের গড়নের সঙ্গে মিলিয়ে সঠিক রঙ নির্বাচন করলে তা ব্যক্তিত্বের অভিব্যক্তি প্রকাশে আরও সহায়ক হবে।
গোলাকার মুখ
গোলাকার মুখের এমন একটি চুলের রং বেছে নেওয়া উচিত যা মুখকে কিছুটা লম্বা দেখাবে। গোলাকার মুখের জন্য গাঢ় রং, বিশেষ করে কালো বা ডার্ক ব্রাউন ভালো মানায়। এই রঙগুলো মুখের পাশে ছায়া তৈরি করে। যা মুখকে সরু এবং লম্বা দেখায়। হালকা হাইলাইটস বা লো-লাইটস মাথার ওপরের অংশে দিলে মুখের আকৃতি দীর্ঘায়িত দেখাবে। ওম্ব্রে শেড করলে হালকা রং বেছে নিতে হবে। মাঝখ𓂃ান থেকে শেষ পর্যন্ত হালকা রং করলেই ভালো দেখাবে।
ডিম্বাকৃতি মুখ
ডিম্বাকৃতি মুখকে স🅠বচেয়ে ভারসাম্ไযপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় মুখের গঠন বলে মনে করা হয়। এই মুখের গঠনে প্রায় সব ধরণের চুলের রং মানিয়ে যায়। অ্যাশ ব্লন্ড বা হালকা ব্রাউন শেড হতে পারে সেরা পছন্দ। এই রঙগুলো মুখের বৈশিষ্ট্যগুলোকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। চকলেট ব্রাউন রং করলে মুখের শার্প বৈশিষ্ট্যগুলোকে কিছুটা নরম করে। যা প্রাণবন্ত লুক দেবে। মাল্টি-টোন হাইলাইটস করলে ভালো দেখাবে। হালকা শেডের হাইলাইটস, বিশেষ করে ফেস-ফ্রেমিং হাইলাইটস এই গড়নের জন্য আদর্শ।
চতুষ্কোণ মুখ
যাদের চতুষ্কোণ মুখ তাদের জাও লাইন স্পষ্ট এবং মুখের প্রস্থ এবং দৈর্ঘ্য প্রায় সমান। এই ধরনের মুখের জন্য সোনালী, ক্য🧸ারামেল ব্রাউন, বা হালকা ব্রাউন খুব মানানসই। যা মুখের প্রান্তগুলোকে কিছুটা নরম করে। গোল্ডেন হাইলাইটস চুলের গড়নকে লেয়ার দেয়। যা মুখের কাঠামোকে নরম করে এবং মুখকে আরও সিমেট্রিকাল দেখায়। চুলের গড়ন অনুযায়ী মাথার উপরের অংশে গাঢ় শেড এবং নিচের দিকে হালকা শেড করে নেওয়া যায়। এটি মুখের ভারসাম্য ঠিক রাখবে।
হার্ট আকৃতির মুখ
হার্ট আকৃতির মুখের কপাল প্রশস্ত এবং চিবুক সরু হয়। এই মুখের গড়নের জন্য হালকা বা মাঝারি ♌ব্রাউন শেড খুবই মানানসই। এটি মুখের ওপরের এবং নিচের অংশের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখে। লালচে বা বারগান্ডি রঙ চুলের শার্পনেস বাড়িয়ে দেয়। মুখের বৈশিষ্ট্যগুলোকে আরও শার্প করে। বল্ড হাইলাইটস করা যায়। যা স্পষ্ট এবং উজ্জ্বল দেখাবে।
লম্বাটে মুখ
লম্বাটে মুখের গঠন সাধারণত লম্বা এবং সরু হয়। এই ধরণের মুখের জন্য চুলের এমন রং প্রয়োজন যা মুখের দৈর্ঘ্যকে ভারসাম্যপূর্ণ দেখাবে। এই মুখের জন্য মাঝারি থেকে গাঢ় ব্রাউন রঙ ভালো মানায়। এটি  ꧟;মুখের লম্বা গড়নকে কিছুটা প্রশস্ত দেখায়। মাথার উপরের অংশে গাঢ় রং এবং নিচের দিকে হালকা রঙের ওম্ব্রে স্টাইল করা যায়। যক মুখের দৈর্ঘ্য কম দেখায়। বিভিন্ন শেডের মাল্টি-ডাইমেনশনাল রঙ মুখের গড়নকে ভারসাম্যপূর্ণ করবে।
ত্রিভুজাকৃতি মুখ
ত্রিভুজাকৃতি মুখের জন্য এমন রঙ নির্বাচন করা উচিত যা কপালকে কিছুটা প্রশস্ত দেখায়। হালকা ব্লন্ড মুখের উপরের অংশকে উজ্জ্বল করে এবং কপালকে আরও প্রশস্ত দেখাবে। কপার, গোল্ডেন টোন বা লালচে রঙ ম💖ুখের ওপরের অংশে ভলিউম যুক্ত করে। যা মুখের গড়নকে সমন্বিত করে তোলে। হাইলাইটস চুলের ভলিউম বাড়াবে। মুখের আকৃতিকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করবে।