পিৎজা খেতে কেনা পছন্দ করে। স্পেশাল পিৎজার জন্য বিশেষ দোকানও রয়েছে। ইচ্ছে হলেই পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে পিৎজা খেতে ছুটেন অনেকে। যত বড় পিৎজা, ততবেশি দাম। স্পেশাল পিৎজায় আবার যোগ হয় হরেক পদ। বিফ, চিকেন, ভেজিটেবলের দিয়ꦕে বানানো পিৎজায় রকমফেরও থাকে। যা স্বাদের দিক থেকেও ভিন্ন হয়। তবে দেশের এসব দোকানে শুঁটকির পিৎজা পাওয়া মুশকিল। নাম শুনেই ভ্রু কুঁচকে গেল! হ্যা, সত্যিই শুঁটকি দিয়ে পিৎজাও বানানো হয়। যদিও এদেশের মানুষেরা এর স্বাদ এখনও নিতে পারেননি। তবে সুদূর আমেরিকানরা শুঁটকির পিৎজার স্বাদে মু🦹গ্ধ হয়ে গেছে।
বাঙালিদে🌄র অন্যতম প্রিয় খাবার শুঁটকি। শুঁটকি মাছের বহু প্রকরণ রয়েছে। এর গন্ধ ভালো না হলেও খেতে বেশ মজা। শুটঁকির ভর্তা, ভুনা কিংবা সবজি দিয়ে রান্না করে খেতে খুব সুস্বাদু হয়। কিন্তু বাঙালিয়ানা এসব খাবারের বাইরে বিদেশি খাবারে শুঁটকির মিশ্রণ খুব একটা দেখা যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি এমনই খাবারের সন্ধান মিলেছে। তাও আবার যুক্তরাষ্ট্রে।
বিশ্বদরবারে শুঁটকির পরিচিতি বাড়ছে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটের পিৎজারিয়াতে পৌঁছে গেছে এই খাবারটি। সেখ🔯ানেই বানানো হ🅘চ্ছে শুঁটকির পিৎজা।
ডেট্রয়েটে অবস্থিত `আমার পিৎজা` রেস্তোরায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শুটকির পিৎজা। শুঁটকি ঝাঁঝালো গন্ধ পিৎজার স্বাদে বাড়তি তরকা যোগ করেছে। শুধু তাই নয়, এর স্বাদ প্রিয় হয়ে উঠেছে আমেরিকাদের কাছে। পিৎজার মধ্যে শুঁটকি যোগ করার মাধ্যমে খাবারে নতুনত্ব আনায় প্রশংসা পাচ্ছে ওই পিৎজার দোকানটিও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের `নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট পিৎজাস ইন দ্য ইউএস` তাল🍌িকাতেও জায়গা করে নিয়েছে।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে✱র মাটিতে শুঁটকি পিৎজার এই জনপ্রিয়তা সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের কথা মনে করিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে রন্ধনশৈলীতে নতুন উদ্ভাবনের কথাও স্মরণ করছেন অনেকে। ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো স্থানভেদে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যার উদাহরণ হচ্ছে এই শুঁটকির পিৎজা।
রাঁধুনিরা এই ভিন্ন পদকে অআবিষ্কারের চেষ্টায় মেতেছ🦋েন। আর অন্যদিকে খাদ্যপ্রেমীরা নতুন স্বাদের খাবার খেতে সেই রেস্তোরায় ছুটে যাচ্ছেন। ঐতিহ্যবাহী ও প্রথাগত রান্নার উপাদান দিয়ে নতুন খাবার তৈরি এই কৌশলের প্রশংসাও করছেন অনেকে। দেশের বাইরে থাকা বাঙালিরাও এই খဣাবারকে ঘরের খাবারের মতোই আপন করে নিয়েছেন।
সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার