মন স্টেটের রাজধানী মাওলামিয়ানে রাতের বেলা কো ওয়াই ফিয়ের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন সেনাসদস্যরা। ফুটবল ম্যাচ শেষ করে একটি চায়ের দোকান থেকে বাসায় ফিরছিলেন ১৯ বছরের এ তরুণ। কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই সেনাসদস্যরা মোটরসাইকেলসহ তাকে তুলে নেন নিজেদের টཧহল ট্রাকে।
ভাগ্যক্রমে ঘটনাটি দেখে ফেলেন ওয়াইয়ের প্রতিবেশী ইউ সোয়ে। দৌড়ে বাসায় গিয়༒ে তার বাবা-মাকে খবরটা দেন তিনি। এরপর ওই এলাকার গণ্যমান্য কয়েকজন পুলিশ স্টেশনে ওয়াইকে খুঁজতে যান। কিন্তু পুলিশ স্টেশন থেকে তাদের জানানো হয়, অনেক রাত হয়ে গেছে; তাদের সকালে আসতে হবে।
ওয়াইয়ের বাবা-মা বলেন, “আমরা সকাল সাতটায় পুলিশ স্টেশনে গেলাম। কিন্তু ওয়াই ফিও সেখানে ছিল না। অফিসাররা জানাল, তারা তাকে আটক করেননি। তবে সে সামরিক কম্পাউন্ডে থাক🃏তে পারে। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দ🐼িয়ে আমাদেরকে বাসায় ফিরে যেতে বলেন তারা।”
পরে বিকেলে পুলিশ ওয়াইয়ের বাবা-মাকে ফোন করে জানায়, শহরের বাইরে একটি মিলিটারি রিক্রুটমেন্ট অফিসে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। যদিও বিষয়টি জটিল, তারপরও তারা আলোচনা করছে, কী করা যায়! পরে আবার পুলিশ জানাল যে তাদের ꧅কিছু টাকা দিতে হবে। না✱ হলে ওয়াইকে বের করা যাবে না। ওয়াইয়ের মুক্তির জন্য তিন মিলিয়ন কায়েত (মিয়ানমারের মুদ্রা) দাবি করা হয় বলে দাবি তার বাবা-মায়ের।
ওয়াইয়ের প্রতিবেশী ও ওয়ার্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জানতেন কীভাবে বিষয়টি ডিল করতে হবে। তিনি ওয়াইয়ের বাবা-মাকে টা൲কা দিতে বললেন। অবশেষে টাকার বিনিময়ে ওয়াই 💯মুক্তি পেলেন।
ওয়াই ফিয়ের ভাগ্য ভালো ছিল যে তাকে মুক্ত করা গেছে। কিন্তু তাকে যত দিন আটকে রাখা হয়েছিল, প্রতিদিনই তাকে মারধর করতেন জান্তা বাহিনীর অফিসাররা। ℱতাকে বলা হয়েছিল- হয় তাকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে, না হলে জেলে যেতে হবে। কিন্তু সেখানে আরও অনেকে আছে ওয়াইয়ের মত। যারা দিন𓃲ের পর দিন মার খাচ্ছেন।
এভাবে মিয়ানমারে তরুণদের ধরে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করছে জান্তা সরকার। নির্দেশ না মানলে পাঠানো হচ্ছে জেলে। বিশেষ করে রাতের বেলা কোনো তরুণকে একা পেলেই তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে সেনাসদস্যরা। এরপর তাদের সামনে রাখা হয় দুটি পথ; হয় সেনাবা☂হিনীতে যোগদান, নয় জেল!
সূত্র : দ্য ফ্রন্টিয়ার