গেল বছরে প্রায় সাড়ে চার হাজার ধনকুবের যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে গেছেন। এবছরের তালিকাটা আরও লম্বা প্রায় দ্বিগুণ। অভিবাসনবিষয়ক তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছ﷽রে দেশটি থেকে প্রায় ৯ হাজার ৫০০ জন ধনকুবের দেশ ছাড়বেন। যাদের অন্তত ১০ লাখ পাউন্ড নগদ ও বিনিয়োগযোগ্য সম্পদ আছে।
অভিবাসনবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের এক সাময়িক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা সিএনএন। এর আগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২♚৩ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন ১৬ হাজার ৫০০ ধনী।
হেনল🌱ি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ইনস্টিটিউট ফর গভর্নমেন্টের প্রধান নির্বাহী হানা হোয়াইট বলেছেন, নানাবিধি কারণে যুক্তরাজ্য আর ধনীদের জন্য আকর্ষণীয় থাকছে না। ব্রেক্সিটের জের এখনও চলছে; সেই সঙ্গে সিটি অব লন্ডনও আর বিশ্বের আর্থিক জগতের কেন্দ্র হিসেবে গণ্য হচ্ছে না।
তাছাড়া এটাও ধারণা করা হচ্ছে যে, যুক্তরাজ্যে পরবর্তী নির্বাচনে লেবার পার্টি জিতবে ও সরকার গঠন করবে। আর লেবার পার্টির আমলে 🧔বেড়ে যেতে পারে করহার। এমন আশঙ্কা থেকে রেকর্ডসংখ্🎉যক অতি ধনী বা ধনকুবেররা চলতি বছর যুক্তরাজ্য ছাড়তে পারেন।
বিশ্বের যে ১৫টি দেশে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ধনীর বসবাস, সেসব দেশের মধ্যে ধনকুবেরদের যুক্তরাজ্য ছেড়ে যাওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। চলতি বছরে এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের চেয়ে𒆙 এগিয়ে থাকবে কেবল চীন। যে দেশটি থেকে এবার ১৫ হাজার ২০০ ধনꦯকুবের দেশ ছাড়বেন।
তথ্যমতে, ২০১৩ সালের পর যুক্তরাজ্য বাদে জাপান ও হংকংয়ে ধনকুবেরের সংখ্যা কমেছে। একই সময়ে বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সে।𓃲 তবে এমন প্রবণতা নতুন নয়। বিশ্বজুড়ে ধনকুবেরদের গণহারে অভিবাসন ক༒রার যে ধারা তৈরি হয়েছে, এটা তারই অংশ।
হেনলি প্রাইভেট ওয়েলথ মাইগ্রেশন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছর বিশ্বের ১ লাখ ২৮ 🤪হাজার💧 ধনী অভিবাসন করতে পারেন। গত বছরের চেয়ে যা ৮ হাজার বেশি।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ🧜জন প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য শাসন করেছেন; এর মধ্যে ২০২২ সালে লিজ ট্রাসের ৪৫ দিনের সরকারও ছিল। তিনি কর হ্রাস করে আর সরকারের ঋণ বৃদ্ধি করে ব্যয় মেটাতে চেয়েছিলেন। এ সিদ্ধান্তে পাউন্ডের ব্যাপক দরপতন হয় এবং শেষমেশ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
এ ধরনের অস্থিতিশীলতার কারণে নীতিপ্রণেতাদের পক্ষে দেশটির শ্লথ অর্থনীতির গতি বাড়ানো বা বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। আসছে মাসেই যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে🀅। জরিপে দেখা গেছে, কির স্টারমারের লেবার পার্টি প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি সমর্থন পে🧔য়ে এগিয়ে আছে।
নির্বাচিত হলে লেবার পার্টি সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধিতে অঙ্গীকারবদ্ধ, যেমন ধনীদের আয়কর। এমনিতেই ধনীরা যুক্তরাজ্যে ছেড়ে যাচ্ছেন; সেই সঙ্গে এমন নীতির কারণে 🐷ধনীদের দেশ ছাড়ার প্রবণতা আরও🎐 বাড়তে পারে।