• ঢাকা
  • সোমবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


যে কারণে চীনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কেজি স্কুল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
যে কারণে চীনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কেজি স্কুল
ছবি : সংগৃহীত

পুরস্কার ঘোষণা করেও বাড়ানো যাচ্ছেন না জন্মহার। চীনে দম্পতিরা সন্তান জন্মদানে অনাগ্রহী। কয়েক বছর ধরে লাগাতার নিম্ন জন্মহার ও তার জেরে শিশুদের সংখ্যা কমতে থাকায় একের পর এক কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চীনে। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে চীনজুড়ে𒆙 যেখানে ২ লাখ ৮৯ হাজার ২০০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ছিল, পরের বছর ২০২৩ সালে তা হ্রাস পেয়ে নেমে এসেছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০টিতে। অর্থাৎ মাত্র এক বছরে দেশটিতে ১৪ হাজার ৮♏০০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, শতকরা হিসেবে এক বছরে চীনে ১ দশমিক ২ শতাংশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। আর এই সময়সীমায় চীনে কিন্ডারগার্টেনগামী শিশু শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্র𝐆াস পেয়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

গত কয়েক বছর ধরেই চীনে জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে। তবে সময় যত গড়াচ্ছে, সংকট দূর হওয়ার পরিবর্তে আরও বেশি ঘনীভূত হচ্ছে। ২০২৩ সালে চীনে জন্ম নিয়েছে মাত্র ৯০ লাখ শিশু। ১৯৪৯ সালের পর এই প্রথম এক বছরে এত কম সংখ্যক শিশুর জন্ম দেখেছে দেশটি।
দেশটির জনসংখ্যা গবেষকদের মতে, এই মুহূর্তে চীনের জন্মহার হওয়া উচিত ২ দশমিক ১; কিন্তু গত বছর জন্মহার𒀰 ছিল ১-এর চেয়েও কম।

এদিকে জন্মহার কমে যাওয়ায় একদিকে যেমন শি✨শুদের সংখ্যা কমছে, তেমনি অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বয়স্কদের সংখ্যা। যেসব কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে, সেসবের মধ্যে অনেকগুলোকে ইতোমধ্যে বৃদ্ধ নিবাসে রূপান্তর করা হয়েছে।

চীনের জনসংখ্যাবিদ হে ইয়াফু দেশটির দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “শিশুদের সংখ্যা কমতে থাকলে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমবে— এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু তাই বলে একের পর এক স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া কোনো ইতিবাচক ব্যাপার নয়। আমার মতে, শিশুদের কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তির বয়সসীমা কমিয়ে ৩ বছর করে দেওয়া উচিত।”
চীনে জন্মহার কমে যাওয়ার একটি বড় কারণ প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ-তরুণীদের বিয়ে না করা এবং এবং একা থাকার প্রবণতা বাড়তে থাকা। আবার তরুণ-তরুণীদের একা থাকার প্রবণতা বাড়তে থাকার প্রধান কারণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে ধীরগতি এবং বাড়তে থাকা বেকারত্ব।
দেশটির পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪ স🙈ালের প্রথম ৬ মাসে চীনে বিয়ে করেছেন ৩০ লাখ ৪৩ হাজার যুগল। আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসের থেকে এই সংখ্যা ৪ লাখ ৯৮ হাজার কম।

Link copied!