যুক্তরাজ্যের আকাশে অতি উজ্জ্বল রহস্যময় বস্তু উড়তে দেখছেন বাসিন্দারা। নরফোক ও সাফোক কাউন্টিতে এসব ড্রোন উড়ছে মার্কিন বিমানঘাঁটিগুলো ঘি🍷রে। বিশেষ করে রাতের আকাশে একাধিকবার এসব বস্তু বা ড্রোন উড়তে দেখার পর তা নিয়ে আলোচনা, বিতর্ক শুরু হয়েছে।
গত ২০ ও ২২ নভেম্বর কয়েক দফায় উড়তে দেখা এসব রহস্যময় ড্রোনের কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি যুক্তরাজ্য সরকার। তারা ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখতে শুরু করলেও কারা উড়াচ্ছে, কেন উড়াচ্ছে তা নিয়ে কোনো তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি। এসব ড্রোনের পেছনে থাকা ব্যক্তি✅দের ꧂শনাক্তও করতে পারেনি।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, মূলত তিনটি বিমানঘাঁটির কাছে আশেপাশে এসব ড্রোনের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। এগুলো হলো সাফোক কাউন্টির আরএএফ লাকেনহিথ, আরএএফ মিলডেনহল এবং পার্শ্ববর্তী নর🧜ফোক কাউন্টির আরএএফ ফেꦍল্টওয়েল।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, এসব বিমানঘাঁটির ওপর ও আশপাশ এলাকায় গত ২০ ও ২২ নভেম্বরের মধ্যে ড্রোনগুলো দেখা গেছে। আরএএফ মিলডেনহলের কাছে বেক রো এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তারা তাদের বাড়িঘর আর বিমানঘাঁটিগুলোর ওপর অতি উজ্জ্বল কিছু আকাশযান উড়তে দেখ✃েছেন।
তবে এসব রহস্যময় বস্তু বা ড্রোন কীভাবে উড়ছে, কেন উড়ছে, কেনই বা ঘটনাগুলো ঘটতে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেক꧑ রো এলাকার বাসিন্দা তরুণ ক্যাসিম ক্যাম্পেল বলছেন, রহস্যময় সেসব বস্তু ত্রিকোণাকৃতির। বಞস্তুগুলো ওড়ার সময় বেশ আওয়াজ হচ্ছিল। এগুলো থেকে আলো বের হচ্ছিল।
ক্যাম্পেল✤ের প্রশ্ন, ‘উড়ন্ত বস্তুগুলো যদি হুমকি হয়ে থাকে, তবে কেন গুলি করে নামানো হলো না? ক্ষতিকর হলে কেন এগুলো উড়তে দেওয়া হলো?’ বেক রো এলাকায় ক্রিস্টাল ম্যাসন নামের এক তরুণী আরএএফের একজন পাইলটের স্বজন। সপ্তাহ খানেক আগে তিনি দুটি ড্রোন উড়তে দেখেছেন।
এক সন্তানের মা ম্যাসন বলেন, ‘একদিন রাতে কমলা রঙের গোলাকৃতির একটি বস্তুকে আকাশে দেখতে পান তিনি। এটি মার্কিন বিমানঘাঁটির ওপর উড়ছিল। গত ১০ দিনে গ্রামের চারপাশে আমি সামরিক বাহিনীর গাড়িগুলো ঘোরাফেরা করতে দেখেছি। ব্রিটিশ সেনা ও পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ছি🍨ল বেশি।’
ম্যাসনের ধারণা, ‘কমলা রঙের গোলাকৃতির বস্তুটি ছিল অনুপ্রবেশকারী ড্রোন। আকাশে কমলা রঙের একটা বড় আলো দেখলাম। হঠাৎ সেটি মিলღিয়েও গেল। লোকজন তা দেখে আনন্দ প্রকাশ করছে, সেই শব্দ শুনলাম আমি।’
এসব ঘটনা নিয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনী রাখঢাক করছে বলে মনে করছেন বেক রোর এলাকার বাসিন্দা জনি হুইটফিল্ড। তিনি বলেন, ‘এসব বস্তু বিদেশ থেকে আসা, নাকি স্থানীয়, তা জানা যায়নি। (মার্কিন বিমানবাহিনী) এ নিয়ে তেমন তথ্য দিচ্ছে না। ঘাঁটির চেয়ে ফেসবুক থেকেই এ বিষয়ে বেশি তথ্য আপনারা জা🌊নতে পারবেন।’
য🔥ুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সূত্রগুলোর ভাষ্য, রহস্যময় এসব বস্তুর অনুপ্রেবেশের ঘটনার পেছনে ‘রাষ্ট্রীয় অভিনেতাদের’ হাত আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অবশ্য এখন পর্যন্ত যুকꩵ্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য- কোনো দেশই এসব ঘটনায় কারা দায়ী থাকতে পারে, সে বিষয়ে কিছু বলেনি।
হাউস অব লর্ডসে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লর্ড কোকার বল🧸েছেন, এসব খবরের বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবগত আছে। এ নিয়ে সফররত মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে এ মন্ত🦩্রণালয়, পুলিশ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।