ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরের একটি স্কুলে এক মুসলিম শিক্ষার্থীকে চড় মারার ঘটনায় ওই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৭ আগস্ট) স্🦋কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এ-সংক্রান্ত নোটিশ পাঠিয়েছ🔯ে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মুসলিম শিক্ষার্থীকে চড় মারার ঘটনাটি ঘটে রাজ্যের মুজাফফরনগরের খুব্বাপুর গ্রামের নেহা পাবলিক স্কুলে। স্কুলটিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। ওই স্কুলের🐟 প্রধান শিক্ষিকা ও মালিক তৃপ্ত ত্যাগী (৬০) চড় মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক শিশু দাঁড়িয়ে কাঁদছে আর শিক্ষিকা তৃপ্ত অন্য শিক্ষার্থীদের উঠে এসে ওই শিশুকে চড় মারতে নির্দেশ দিচ্ছেন। ক্যামেরার পেছনে থাকা তৃপ্তকে বলতে শোনা যায়, “যত মুসলিম বাচ্চা আছে, তোমরা এখান থেকে চলে যাও।”
ওই শিশু শিক্ষার্থী বলে, “পাঁচের ঘরের নামতা না পারায় শিক্ষিকা আমাকে শাস্তি দেন। আমার সহপাঠীরা আমাকে থাপ্পড় মেরেছিল। শিক্ষিকা আমার সহপাঠীদের আমাকে জোরে মারতে বল♏েছিল। তাই তারা আমাকে এক ঘণ্টা ধরে মারতে থাকে।”
পুলিশ জানিয়েছে, তৃপ্ত ত্যাগীর বিরুদ্ধে দুᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ধারাগুলো জামিনযোগ্য বলে তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে ওই স্কুল বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের যাতে পড়াশোনার ক্ষতি না হয়, সে জন্য তাদের কাছের স্কুলগুলোতে ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ কাজে শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তারা সহায়তা করবেন বলে নোটিশে জানানো হয়েছে। স্কুল বন্ধের নোটিশের ব্যাপারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস যোগাযোগ করলে তৃপ্ত ত্যাগী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে ঘটনার পর তৃপ্ত ত্যাগী দাবি করেছিলেন, “ভিডিওটি কাটছাঁট করে তৈরি করা হয়েছে। আমি প্রতিবন্♏ধী, তাই আমি কিছু ছাত্রকে তাকে চড় মারতে বলেছিলাম, যাতে সে তার 🅺বাড়ির কাজ শুরু করে।”
এ ঘটনায় দ꧟েশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। এর 🎐মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক নেতা। আর ওই শিশুর বাবা বলেছিলেন, তিনি স্কুলটির বিরুদ্ধে কোনো মামলা করবেন না। তবে ওই স্কুলে আর তার সন্তানকে পাঠাবেন না।