বিশ্বের বৃহত্তম গরম ও শুষ্ক মরুভূমি সাহারার চিরচেনা বালির সাগরে হঠাৎই দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। যা ধরা পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার স্যাটেলাইটে। বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে দেখলেন মাত্র এক মা🔯স আগের ধূসর সাহারায় হঠাৎ সবুজের বিস্তার। কী করে হলো এমন পরিবর্তন? উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে।
কারণ অনুসন্ধান করে༒ নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, অতিরিক্ত ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গত ৭-৮ সেপ্টেম্বর সাহারার উত্তর-পশ্চিমাংশে ভারী বৃষ্টি হয়েছে।♚ যা সাহারায় শুষ্ক বুকে সবুজের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফ্রিকার বিষুবরেখার উত্তর𓄧ে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত বেড়ে যায়। পৃথিবী যত বেশি উষ্ণ হচ্ছে ততই🐈 উত্তরে সরে যাচ্ছে ইন্টারট্রপিক্যাল কনভারজেন্স জোন বা আন্তঃক্রান্তীয় অভিসারী অঞ্চলের সীমানা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্ꦜম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বিশ্বের উষ্ণতা বেড়ে পরিবেশগত পরিবর্তন আসছে। তার ফল 🦂ভোগ করছে সাহারাও। অবশ্য এতে শাপে বর হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ মরুভূমিটির।
গেল জুনে নেচারে প্রকাশিত একটি 🐠নিবন্ধে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দশকে সাহারার জলবায়ুতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে থাকবে। সবুজের পরিমাণও বাড়বে। জলবায়ু গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবী যত বেশি উষ্ণ হবে, সাহারায় তত সবুজায়ন হবে।
ঘটনা ব্যাখ্যা করে উডল হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট পিটার ডি মেনোকাল বলছেন, সাহারায় ভারী বৃষ্টিপাত হলে বালির আস্তরণ সরে🍸 গিয়ে মাটি বেরিয়ে যায়। সেই সুযোগেই অনুকূল পরিবেশ পেয়ে সবুজ গাছপালা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
তবে☂ যে সাহারাকে মরুভূমি হিসেবে আমরা দেখছি, অতীতে এমনটা ছিল না। খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ সাল থেকে বর্ষা ক্🧸রমশ দক্ষিণে সরে যেতে শুরু করে। ফলে বৃষ্টির অভাবে ধীরে ধীরে মরুভূমিতে পরিণত হয় সাহারা।
তবে এখন পরিস্থিতি আবার প🍒াল্টে যাচ্ছে। যে সব অঞ্চলে বৃষ্টি হয়ই না সে সব অঞ্চলগুলো এখন ভেসে যাওয়ার মতো অবস্থায়। আফ্রিকার রুক্ষতম অঞ্চলে বৃষ্টি বেড়েছে ৫ গুণ। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে চাঁদ, সুদান এবং এরিট্রিয়ার কিছু অংশে। বিজ্ঞানীদের মতে, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বিশ্বের উষ্ণতা বেড়ে পরিবেশগত যে পর🔯িবর্তন আসছে, তার ফল ভোগ করছে সাহারাও।