রাশিয়ার অন্যতম রাজনৈতিক দার্শন♌িক ও পশ্চিমাবিরোধী বুদ্ধিজীবী আলেকজান্ডার দুগিন আনুষ্ঠানিক কোনো পদে না থাকলেও রুশ প্রেসিডেন্টের খুবই ঘনিষ্ঠ। তিনি ‘পুতিনের🅺 রাসপুতিন’ নামে পরিচিত।
দুগিনের পশ্চিমাবিরোধী ও উগ্র জাতীয়তাবাদী দর্শন রাশিয়ায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক মতাদর্শে পরিণত হয়েছে, যা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্প্রসারণবাদী পররাষ্ট্꧅রনীতি তৈরিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। ইউক্রেনে যুদ্ধেও দুগিনের দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
অনেকে মনে করেন, ক্রিমিয়ার মতো ইউক্রেনে হামলার পেছনে🥃ও ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’ নামে পরিচিত আলেকজান্ডার দুগিনই দায়ী। তার মেয়ে দারিয়া দুগিনও মস্কোর এসব হামলার সমর্থক 🔯ছিলেন।
অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অনলাইনে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়ানোর অভিযোগে যুক্তরাজ্য কর্তৃক দারিয়া দুগিনের ওপর নিষেধাজ্⛎ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
মে মাসে তিনি একটি সাক্ষাৎকার দেন, যেখানে তিনি এ👍ই যুদ্ধকে ‘সভ্যতার সংঘর্ষ’ বলে উল্লেখ করেন। শুধু তা-ই নয়, পশ্চিমা দেশগুলো যে তার ও তার পিতার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, সে জন্য তিনি তার গর্বের কথাও প্রকাশ করেছিলেন।
রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল 💟করে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালে আলেকজান্ডার দুগিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
বিশ্বরাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের যে দৃষ্টিভঙ্গি তার ওপর দুগিনের লেখার গভীর প্রভাব রয়েছে🎃 বলে ধারণা করা হয়। এবং উগ্র-জাতীয়তাবাদী মতাদর্শ তৈরিতে তিনি একজন প্রধান বুদ্ধিজীবী হিসেবেও বিবেচিত। ক্রেমলিনের অনেক কর্মকর্তাই তার এই আদর্শ অনুসরণ করেন।
রাশিয়া বিশ্বমঞ্চে যেন নিজেকে আরও আক্রমণাত্মকভাবে জাহির করে, সে🌸 জন্য আলেকজꦕান্ডার দুগিন কয়েক বছর ধরেই মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা