সুইডেনে ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট’ শিরোনামে এক গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ♕্ছেন এডেন গোলান নামে এক ইসরায়েলি গায়িকা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুইডেনের হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। ইসরায়েলের গায়িকাকে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্র🐻হণের সুযোগ দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তারা।
দ্বিতীয় 🧜সেমিফাইনালের আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে) ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ মালমো শহরের রাস্তায় নামেন। সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন। সেসময় তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধ♎ে মিছিল করেন ও ফিলিস্তিনি পতাকার রংয়ের স্মোক ফ্লেম জ্বালান।
বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা শনিবার (১১ মে) ফাইনালের আগে আবারও মিছিল করবেন। প্রতিবাদে অংশ নেয়া বিশ্বব্যাপী পরিচিত পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেও𝐆য়🤡া আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতা। ইউরোভিশন সং কনটেস্ট চলাকালীন হাজার হাজার মানুষের এমন প্রতিবাদ আয়োজকদের কাছে শক্তিশালী বার্তা।
অবশ্য এর আগে বুধবার (৮ মে) প্রতিযোগিতার রিহার্সালের সময়ই দুয়োধ্বনি দেয়া হয় গোলানকে উদ্দেশ্য করে। তবে তার বক্তব্য🃏 ছিল, তিনি তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত ও কোনো কিছুই তাকে থামাতে পারবে না।
এদিকে, জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়েচে ভেলে জানায়, গোলানের প্রথম গানের নাম ছিল ‘অক্টোবর রেইন’। গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে হামাসের চালানো হামলার সঙ্গে মিল থাকায় স𒅌েই নাম বদলাতে হয়। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের পর ‘হারিকেন’ নামক একটি গান গেয়ে প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছেছেন গোলান।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতেই গোলানকে শুভকামনা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দাবি🌟, সুইডেনে সফলভাবে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে গায়িকা ইসরায়েলিদের মন জয় করে নিয়েছেন।
ইউরোভিশন হলো অরাজনৈতিক সংগঠন। কিন্তু সমালোচকরা বলেছেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া ও বেলারুশের প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া𒀰 হয়নি। এই বছরের (৬৮তম) প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনি পতাকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।