• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বাঁধের মুখ একা একা খুলে যাওয়ার যে ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম
বাঁধের মুখ একা একা খুলে যাওয়ার যে ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারত

তিন দশকের বেশি সময়ের মধ্য💜ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত🃏্রিপুরায় সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেখানকার সরকার। এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দুজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭ জন।

বৃহস্পতি꧃বার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজ্য সরকার জানিয়েছে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ সেখানে পা൲নিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

রা🤡জ্যের এক মন্ত্রী বিবিসি বাংলাক🍬ে বলেছেন আগস্ট মাসে যা বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা স্বাভাবিকের থেকে ১৫১ শতাংশ বেশি। গত চারদিন ধরে প্রায় অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে সেখানে।

শুধু গোমতী জেলায়, যে এলাকাতেই অবস্থিত গোমতী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অধীন ডম্বুর জলাধার, সেই জেলায় আগস্ট মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়া𓄧র কথা ১৯৬ দশমিক ৫ মিলিমিটার। অথচ সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ৬৫৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার, যা ২৩৪ শতাংশ বেশি। 

বিবিসি বাংল🎶াকে এ তথ্য দিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ।

রাজধানী আগরতলাসহ বিস্তী♛র্ণ এলাকা এখনো পানির মধ্যে আছে। হাওড়া, খোয়াই, মুহুরী ও😼 ঢলাইসহ রাজ্যের প্রায় সব নদীই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞান দপဣ্তর রাজ্যের তিনটি জেলায় লাল সতর্কতা ও বা꧃কিগুলোতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে।

ডম্বুর বাঁধে কী হয়েছে?

এ বন্যꦗায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেসব জেলা, তার মধ্যে আছে গোমতী। গোমতী জেলাতেই গোমতী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডম্বুর স্লুইস গেট খুলে দেওয়ার ফলে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাপক বন্যা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। ꦆরাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরের অধীন ওই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি।

🌊দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেছেন, “যে প্রচারটা করা হচ্ছে ডম্বুর গেট খুলে দেওয়া নিয়ে, সেটা অপপ্রচার ছাড়া কিছু না।”

ত♌িনি বলেন, “গোমতী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো গেট খুলে দেওয়া হয়নি। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারটির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৯৪ মিটার। জলস্তর এর বেশি উঠলেই নিজের থেকেই জল গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবে। পানিস্তর আবার নিচে নেমে গেলে নিজের থেকেই গেট বন্ধ হয়ে যাবে। পানিস্তর সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতার বেশি হয়ে যেতেই জলাধারের দুটি গেট দিয়ে জল বেরোচ্ছে। এর মধ্যে একটি গেট দিয়ে ৫০ শতাংশ হারে পানি বেরোচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে আগে থেকেই মাইকিং করে সতর্ক থাকার অনুরোধও জানানো হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেছেন, গত তিন দশকে এ রকম বন্যা হয়নি ত্রিপুꦗরায়।

তার কথায়, ১৯৯৩ সালের ২১ আগস্ট ত্রিপুরার সাব্রুমে একদিনে ২৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড ছিল। আর এ বছর ২০ আগস্ট একদিনে বৃষ্টি হয়েছে ৩৭৫.৮ মিলিমিটার। ঠিক ৩১ বছর পরে একদিনে এত বেশি বৃষ্টি 𝔍হয়েছে। পুরো মাসের হিসাব যদি দেখি, আগস্ট মাসের ২১ দিনে স্বাভাবিক বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল ২১৪ মিলিমিটার। সেখানে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৩৮. ৭ মিলিমিটার, অর্থাৎ ১৫১ শতাংশ বেশি।

মন্ত্রী বলছিলেন, স্বাভা🧜বিকভাবেই এত বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ🌌ত বড় বন্যা দেখা গেছে তিন দশকের বেশি সময় পরে।

উদ্ধারে হেলিকপ্টার

উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিলির জন্য পুরো রাজ্য প্রশাসনই কাজে নেমে পড়েছে বলে বৃহস্পতিবার আগরতলায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ম🍎া♛নিক সাহা।

রাজ্যের ত্রাণ, পুনর্বাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে যে ৪৫০টি আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে, যেখানে আশ্রয় নিয়েছে ৬৫ হাজারেরও বেশিꩲ মানুষ।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজের জন্য দুটি হেলিকপ্টার নিয়ে আসা হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও অতিরিক্ত দল পাঠিয়েছে বৃহস্পতিবার সকালেই। 🌺একই সঙ্গে কাজ করছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, আসাম রাইফেলস, ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের মতো সশস্ত্র বাহিনীগুলোও।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারেও রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা এবং কোথাও কোথাও ব🦩জ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান দপ্তর।

ওই দপ্তর এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে যে বাংলাদেশের উত্তরা♒ঞ্চলে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা ও মিজোরামের কিছু এলাকায় অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং ফ্ল্যাশ ফ্লাডেরও সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরপূর্🐻ব ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে।

তিস্তা-ফারাক্কা

সিকিম থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীতেও পানিস্তর বিপজ্জনক বলে বাংলাদেশের নানা সংবাদমাধ্যমে জানানো হচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় নদী বিশেষজ্ঞ এবং 𒈔ওই অঞ্চলে পরিবেশ স𝄹ংরক্ষণের সাথে যুক্ত রাজ বসু বলছেন যে সিকিমে দুদিন আগে একটি বড়সড় ভূমিধসের ঘটনা হয়েছে, তবে নদী অববাহিকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে না।

তার কথায়, “কোনোদিন বৃষ্টি হচ্ছে, আবার কোনো দিন রোদ উঠছে। ফলে ভূমিধসের সম্ভাবনা বেড়েছে। কিন্তু এখনো কেℱানো বিপদ🅺 সংকেত দেখানো হয়নি নদী অববাহিকা অথবা গজলডোবা ব্যারাজে।”

রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের সূত্রে বলা হয়েছে, গজলডোবা এবং কালীঝোড়া– তিস্তার ওপরে এই দুটি বাঁধে পানিꦛস্তর স্বাভাবিক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গজলডোবা দ💙িয়ে ১০৪৫ দশমিক ৯২ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে এবং কালীঝোড়া বাঁধ থেকে একই সময়ে ১০২৭ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে বলে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তবꦿে 🏅রাজ বসু বলছিলেন তিস্তার সমস্যাটা অনেক দীর্ঘমেয়াদী।

“গত বছর অক্টোবর মাসে গ্লেশিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাডের ফলে যে বিপুল পরিমাণ পাথর, মাটি, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ি-গাড়ি বা অন্যান্য স্থাপনা তিস্তা দিয়ে নেমে এসেছে, সেগুলো নদীবক্ষেই জমে আছে। এর ফলে নদীবক্ষের গভীরতা কমে গেছে। কিছুটা বেশি বৃষ্টি হলেই নদীর পাড় ছাপিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে সেই অবস্থাটা নেই। এই সমস্যার সমাধান একদিনে হবে না, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা কর🎃তে হবে। সেরকম কোনও উদ্যোগ না কেন্দ্রীয় সরকারের দেখছি, না দুটি রাজ্য সরকার–সিকিম আর পশ্চিমবঙ্গের তরফে দেখা যাচ্ছে,” বলছিলেন রাজ বসু।

অন্যদিকে ফারাক্কা ব্যারেজে নদীর পানিস্তর বুধবার থেকে কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে কয়েকটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে ব্যারেজের সূত্রগুলো জানিয়েছে। কিন্তু ঠিক কতটা পানিস্তর বেড়েছে বা কটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারের ফারাক্কা ব্য🎉ারেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

Link copied!