৫০ বছর আগে মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেছিলেন আমেরিকান ইঞ্জিജনিয়ার মার্টিন কুপার। এখন এই যন্ত্রের প্রতি মানুষের মোহ ও মায়া দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনি। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার ডেল মারেতে নিজের দপ্তরে একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “মন ভেঙে যায়, যখন দেখি কেউ মোবাইল ফোন দেখতে দেখতে রাস্তা পার হচ্🦩ছেন। কিছু মানুষ মারা না গেলে কারও বোধ আসবে না।”
শুক্রবার (৩১ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। কুপারের নিজেও অ্যাপলের ঘড়ি, আইফোনের নবম সংস্করণটি ব্যবহার করেন। নতুন সংস্করণ এলেই তিনি মোবাইল ফোন বদলে ফেলেন। তিনি জানিয়েছেন, ফোনে হাজার হাজার অ্যাপ রয়েছে, 💙যার বেশির ভাগের ব্যবহার তিনি জানেন না।
৯৪ বছর বয়সী কুপার বলেন, “আমার নাতি-নাতনিরা বা তাদের ছেলেমেয়েরা যেভাবে মোবাইল ফোন🐻 ব্যবহার করে, আমি কোনো দিন পারব না। আজ যে মোবাইল ফোনের জাদুতে মানুষ ডুবে রয়েছে। যদিও সে একসময় থাকব𒈔ে না।”
কুপার প্রথম মোবাইল ফোনটি তৈরি করেছিলেন ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল। সেই ফোন ছিল বেশ ভারী, অনেক তারে প্যাঁচানো এক জটিল বস্তু। সে সময়ে তিনি একটি মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থায় কাজ করতেন। লাখ লাখ ডলারের প্রকল্প হাতে নিয়েছিল ওই সংস্থা। বাজারে প্রতিযোগিতাও দারুণ। রীতিমতো টক্কর চলছে, কে প্রথম মোবাইল ফোন আনবে। কারণ, মোবাইল ফোন তৈরির পরিকল্পনা মানুষের মাথায় এসেছ𒁏িল অনেক দিন আগেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের পরপরই প্রথম বিষয়টা নিয়ে ভাবা শুরু হয়েছিল।
১৯৬০-এর দশকে গাড়িতে ফোন রাখার ব্যবস্থা করে একটি সংস্থা। কিন্তু সেই🌺 আবিষ্কার খুব বেশি সফল হয়নি। গাড়িতে বিশালাকার ব্যাটারি রাখতে হতো তার জন্য। সার্বিকভাবে বিষয়টা বেশ ঝামেলার। কুপারের মনে হয়েছিল, এতে আসল কার্যসাধন হয়নি। লোকজনের সঙ্গে সব সময় তাদের নিজস্ব ফোন থাকছে না🌜।
১৯🐎৭২ সালের শেষে কুপার ঠিক করেন, তিনি এমন একটা যন্ত্র তৈরি করবেন, যা সহজে বহনযোগ্য। যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করা যাবে। টানা তিন মাস দিনরাত এক করে গবেষণা করেন কুপার ও তার বিশেষজ্ঞ দল। পরের বছর মার্চ মাসের শেষে সমাধান মেলে। কুপারের তৈরি করা প্রথম মোবাইল ফোনটির ওজন ছিল ১ কিলোগ্রামের বেশি। সর্বোচ্চ ২৫ মিনিট কথা বলা যেত। সেই ২৫ মিনিট হাতে নিয়েই কুপার প্রথম ফোনটি করেছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী ফোন প্রস্তুতক꧋ারক সংস্থার অফিসে। বলেছিলেন, ‘‘আমি মার্টিন কুপার বলছি। আমি একটা হাতে ধরা সেলফোনে কথা বলছি। একটা সত্যিকারে সেলফোন, ব্যক্তিগত, এক জায়গা থেকে অন্যত্র বয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, হাতে ধরা যায়।’’ ও পারে তখন অপার নিস্তব্ধতা!