ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে তন♈্ন তন্ন করে খুঁজে ফিরছিল ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মাসের পর মাস ধরে তারা সিনওয়ারের সন্ধান করছিল।
হামাসপ্রধান গাজার যেসব জায়গায় অবস্থান নিয়ে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাতে প🧸ারেন, এমন এলাকার পরিসর ধীরে ধীরে সীমিত করে আনছিলেন ইসরায়েলি সেনারা। তবে কোনোভাবেই সিনওয়ারের অবস্থান জানতে পারছিল না তারা।
এমন হতাশাজনক পরিস্থিতির মধ্যেই হঠাৎ করে ইসরায়েল দাবি করে বসে দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালিয়ে হামাসপ্রধানকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এমন ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহ🧜িনী। তাদের দাবি, সিনওয়ারের আঙু♛লের ছাপসহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে হামাসপ্রধান নিহত হয়েছেন।
তবে সিনওয়ারের নিহত হওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের পক্ষ থেকে। যদিও হামাসের অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো বলছে, তারা যেসব ইঙ্গিত পাচ🗹্ছে, তাতে মনে হয়, সিনওয়ারকে ইসরায়েলি সেনারা হত্যা করেছেন।
রয়টার্স বলছে, হামাসপ্রধানকে হত্যা নিয়ে ই💃সরায়েলি সামরিক বাহিনী একটি ফুটেজ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, ফুটেজে 🌄যে ব্যক্তিকে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়, তিনি হামাসপ্রধান সিনওয়ার।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে নিহত হয়েছেন হামাসপ্রধান ইয়া💙হিয়া সিনওয়ার। তবে অভিযানে অংশ নেওয়া ইসরায়েলি সেনারা প্রথামকিভাবে বিষয়টি জানতেন না। কর্মকর্তাদের দাবি, তারা জানতেন না যে তারা তাদের দেশের ১ নম্বর শত্রুকে পেয়ে গেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এক বিবৃতিতে ইসඣরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও নিরাপত্তা সংস্থা (আইএসএ) গাজায় এক বছর ধরে অনেক অভিযান পরিচালনা করেছে। এমনকি যে এলাকায় সিনওয়ারকে হত্যা করা হয়েছে, সেই এলাকাতেও অভিযান চালানো হয়। এসব অভিযানে সিনওয়ারের কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী তাকে তাড়া করে চলছিল। শেষ পর্যন্ত তাকে নির্মূল করা হলো।
এর আগে গত ১৩ জুলাই ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ। তিনিসহ আরও অনেক হামাস নেতাকে ইসরায়েল হত্যা করেছে পরিকল্পিত অভিযান ও সুনির্দিষ্ট নিশানাকেন্দ্রিক হামলা 🍌চালিয়ে। অর্থাৎ অবস্থান শনাক্ত করে হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। কিন্তু সিনওয়ার হত্যার অভিযানটি পরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্ট নিশানাকেন্দ্রিক ছিল না।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, বুধবার (১৬ অক্টোবর) দক্ষিণ গাজার তেল আল সুলতান এলাকায় তল্লাশি-অনুসন্ধান চালানোর সময় সিনওয়ারকে পেয়ে যান ইসরায়েলের পদাতিক সেনারা। এলাকাটিতে হামাসের কয়েকজন জ൲্যেষ্ঠ সদস্য অবস্থান করছেন, এমনটা ভেবে অভিযান চালাচ্ছিলেন ইসরায়েলি সেনারা।
তবে তেল আল সুলতান এলাকায় সিনওয়ারের থাকার বিষয়টি জানতেন না ইসরায়েলি সেনারা। কর্মকর্তারা জানান, অভিযানকালে সেনারা তিনজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন ভবনের মধ্য দিয়ে সরে যেতে দেখেন। একপর্যায়ে তারা গুলি চালান। দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এ সময় সিনওয়ার সরে 🧜গিয়ে একটি বিধ্বস্ত ভবনে ঢুকে পড়েন।
ইসরায়েলের গণমাধ্যমের বিবরণ অনুযায়ী, পরবর্তী সময়ে ভবনটি লক্ষ্য করে ট্যাংক দিয়ে একাধিক গোলা ছোড়ে ইসরায়েল๊ি বাহিনী। এ ছাড়া তারা একটি ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়ে। একটি ছোট ড্রোন থেকে নেওয়া ফুটেজ প্রকাশ করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
সেনারা বলছে, ফুটেজে যে ব্যক্তিকে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়, তিনি সিনওয়ার। তার হাতে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। তার মুখ স্কার্ফে ঢাকা। ফুটেজে দেখা যায়, তিনি ড্রোনটির দিকে একটি লাঠি ছুড়ে মারার চেষ্টা করছেন। তিনি এভাবে ড্🍒রোনটিকে ফেলে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরা🔥ল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, অভিযানকালে সিনওয়ারকে শুধু একজন হামাস যোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন ইসরায়েলি সেনারা। তার সঙ্গে ছিল একটি অস্ত্র, একটি প্রতিরক্ষামূলক জ্যাকেট ও ৪০ হাজার ইসরায়েলি মুদ্রা শেকেল। হাগারি বলেন, সিনওয়ার পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী তাকে নির্মূল করে।
ইসরাইল হামাসপ্রধানকে হ🐭ত্যা করেছে বলে নিশ্চত খবর দেওয়ার পর জাতিসংঘে ইরানের মিশন বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বলেছে, ইয়াহিয়া সিনওয়ারের হত্যাকাণ্ড এই অঞ্চলে ‘প্রতিরোধ’ জোরদার করার দিকে নিয়ে যাবে।
জাতিসংঘ থেকে এএফপি জানায়, মিশন এক্স-এর একটি পোস্টে বলেছে, ‘প্রতিরোধের চেতনাকে ෴জেরালো করা হবে। তিনি যুবক ও শিশুদের জন্য একটি মডেল হয়ে উঠবেন যারা ফিলিস্তিনের মুক্তির দিকে তার পথকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’