দুবাইয়ের এক্সপো সিটিতে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক সংস্থা কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজের (কপ) ২৮তম সম্মেলন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এ 💛সম্মেলন চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সম্মেলনের প্রথম দিনে জলবা💙য়ু বিপর্যয় তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, এবারের আসরে 🎉পরিবেশ দূষণ কমানো ও জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধানের বিষয়ে আলোচনা🎉 করা হবে।
দরিদ্র দেশের জন্য জলবায়ু বিপর্যয় তহবিল গঠন করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কপ-২৮ এর প্রেসিড﷽েন্ট সুলতান আল-জাবের বলেন, দুবাইয়ের এই পদক্ষেপ বিশ্বের কাছ♉ে একটি ইতিবাচক সংকেত।
🐻প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুই সপ্তাহ ব্যাপী এ সম্মেলনের এ জলবায়ু বিপর্যয় তহবিলের মাধ্যমে সরকারদের অনুদান দেওয়ার পথ খুলে দিয়েছেন প্রতিনিধিরা।
জলবায়ু বিপর্যয় তহবিলে কোন দেশ কী পরিমাণ অনুদান দিবে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে ছোট ছোট অনুদানেই এক সময় অনেক বড় অঙ্কের তহবিল গড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক দেশ অনুদানে🧸র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাদের মধ্যে কপ-২৮ সম্মেলনের আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাত এক হাজার লাখ ডলার, জার্মানি এক হাজার লাখ ডলার, ব্রিটেন কমপক্ষে ৫১০ লাখ ডলার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭৫ লাখ ডলার এবং জাপান ১০০ লাখ ডলার অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
কিন্তু অনে🌼কেই এই তহবিলের বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন। তাছাড়🌄া ভবিষ্যতে এই তহবিল কীভাবে অর্থায়ন করা হবে তাও স্পষ্ট নয়।
জলবায়ু সংকট তৈরি করেছে ধনী দেশগুলো তাই আর্থিক সাহায্য করার দায়িত্বও তাদের বলে জানিয়েছেন ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনালের বিশ্বব্য🅺াপী রাজনৈতিক কৌশলের প্রধান হারজিত সিং।
কপ-২৮ সম্মেলনে মূলত চারটি বিষয়কে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রথমটি হলো জ্বালানির ব্যবহার স্থানান্তর (জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার)। দ্বিতীয় যে 🔯বিষয়টি গুরুত্ব পাবে তা হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্বে ৬০টিরও বেশি দেশের সমন্বয়ে একটি জোট গঠন করে জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট মোকাবিলায় কাজ করা।
এ ছাড়া সম্মেলনে জলবায়ু তহবিল বৃদ্🍷ধি, জলবায়ু অভিযোজন🐻 ও স্থিতিস্থাপকতা ও টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কপ-২৮ সম্মেলনে জলবায়ু তহবিল ঢেলে সাজানোর পরিকল൲্পনাও রয়েছে বলে জানা গেছে। সম্মেলনে লস অ্যান্ড ড্যামেজের বিষয়টিও উল্লেখ থাকতে পারে। উন্নয়নশীল দেশগুলো এ সংক্রান্ত তহবিলের অগ্রগতি বিষয়ে জবাবদিহিতা চাইতে পারে। কারণ এ ধরনের ক্ষতি মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তার জন্য উন্নত দেশগুলো নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এ বিষয়ে তহবিল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কপ-২৭ শীর্ষ সম্মেলনে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর একটি চুক্তি হয়েছিল। সে সময় দুই বছরের মধ্যে লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।