ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় মিয়ানমারে অন্তত এরই মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২ লাখ🍨 ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধ্য হয়েছেন। ত্রাণসহায়তা দেওয়া শুরু করেছে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনী। হেলিকপ্টার থেকে ফেলছে খাবার। কিন্তু আরেক হেলিকপ্টার থেকে গুলি করছে জান্তা বাহিনী।
সংবাদমাধ্যম ইরাবতী বꦕলছে, জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন এক অডিও বার্তায় বলেন, “৫৯ হাজার ৪১৩টি পরিবারের ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৯ মানুষ বন্যার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সারা দেশে ৩৩ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে একজন।”
সম্প্রতি ত্রাণসহায়তা দিতে শুরু করেছে দ্য রয়্যাল থাই এয়ার ফোর্স। এ ক্ষেত্রে হেলিকপ্টার, উড়োজাহাজ ও ড্রোন দিয়ে বন্যার্ত এলাকায় ফেলা হচ্ছে খাবার ও ওষুধ। তবে সহজে সীমান্ত অতিক্রম করতে পারছে না।
ইরাবতী বলছে, মিয়ানমারের♈ প্রায় অর্ধেক এলাকা♎ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুপার টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভারী বর্ষণের পর এই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্দালয় ও রাজধানী নেপিদো।
বন্যার পানি থেকে রক্ষা পেতে🍎 সবাই গাছে কিংবা বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানেই থাকতে হচ্ছে টানা কয়েক দিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এসব ছাদে হেলিকপ্ꦐটার থেকে ছুড়ে ফেলা হচ্ছে খাবার। ড্রোন দিয়ে পাঠানো হচ্ছে ওষুধ ও পানি।
কিন্তু এই বন্যার মধ্যেই যেন আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে জান্তা সরকার। গত কয়েক মাসে বেশ কিছু এলাকা তাদের কাছ থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। এরপর 🐻জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং♏ জানিয়েছেন তারা সেসব এলাকা দখলে নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।