কানাডার পশ্চিমাঞ্চলের আলবার্টায় সপ্তাহব্যাপী প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে। এর ফলে দেখা দিয়েছে দাবানল। আর এ কারণেই দেশটির হাজা🎶র হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন। অঞ্চলটিতে চলতি মাসে মাঝে মাঝে মৌসুমি গড় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ৭৮টির বেশি দাবানল জ্বলতে দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেখান থেকে প্রায় ১৩ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে অন্টারিও ღও কুইবেক থেকে শনিবার (৬ মে) ৮০ জন দমকল কর্মীর সেখানে পৌঁছার কথা রয়েছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তরে লিটল রেড রিভার ক্রি নেশন। এ অঞ্চলে ১ হাজার ৪৫৮ হেক্টর বনভূমি এবং ২০টি বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে প্রাদেশিক রাজধা♉নী এডমন্টন থেকে ১৪০ কিমি (৮৭ মাইল) পশ্চিমে ড্রেটন ভ্যালির ৭ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার নি🎉র্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আলবার্টা ওয়াইল্ডফায়ারের♛ তথ্য ইউনিট ম্যানেজার ক্রিস্টꦛি টাকার বলেছেন, এই বছর আলবার্টাতে ৩৪৮টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৫ হাজার হেক্টর বনভূমি পুড়ে গিয়েছিল।
ক্রিস্টি টাকার বলেন, “সাম্প্রতিক অতীতে আমার দেখা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বছরের এই সময়ে উল্লেখযোগ্যহারে দাবালন ছড়িয়ে পড়েছে। গরমের তীব্রতা আরও বেশি হতে চলেছে। আমরা আরও ভয়াবহ দাবানলের সম্মুখীন হতে চলেছি৷ তব⛄ে আমাদের অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন। যদিও এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।”
এদিকে প্রশান্ত মহাসাগর তীরবর্তী ব্রিটিশ কলাম্বিয়া দ্বিগুণ সংকটে 🅰রয়েছে। সেখানে অনেকগুলো দাবানল ছড়িয়ে পড়ে♏ছে। সেই সঙ্গে দ্রুতগতিতে বরফ গলতে শুরু করেছে। এতে নদীর পানি বেড়ে অনেক স্থানে নদীতীরবর্তী এলাকা প্লাবিত করছে।
কানাডার পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে দেশটির বৃহত্তর কৃষ𒁏িজমি অবস্থিত। সেখানে ‘অস্বাভাবিক শুষ্ক অবস্থা’ বিরাজ কꦿরছে। এমনকি কোনো কোনো স্থানে ‘মারাত্মক খরাও’ দেখা দিয়েছে।
কর্তৃপ𒁃ক্ষ জানিয়েছে, সপ্তাহান্তে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে।
প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অস্বাভাবি🥃ক গরমে দ্রুত তুষার গলে গেছে এবং পানির প্রবাহের কারণে সেখানে কয়েকটি স😼্থানে মারাত্মক বন্যা দেখা দিতে পারে।