বা🅰ংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে গরু পাচারের সময় অস্ত্রসহ পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে আটক করে। রোববার (১৮ আগস্ট) আটক ভা✨রতীয়দের ফেরত দেওয়ার জন্য বিএসএফের সঙ্গে দফায় দফায় পতাকা বৈঠক হলেও বিজিবি তাদের ফেরত দেয়নি বলে জানিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বিএসএফের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, এটি গত কয়েক বছর🐻ের মধ্যে প্রথম ঘটনা যেখানে বিজিবি অনুপ্রবেশকারী ভারতীয়দের ফেরত দেয়নি, যা তাদের জন্য একটি বিস্ময়কর ঘটনা।
রোববার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর সীমান্তের পদ্মা নদীতে নৌকায় করে গরু পাচারকালে পাঁচ ভারতীয়কে অস্ত্রসহ আটক করে বিজিবি। আটক ভারতীয়রা হলেন মুর্শিদাবাদের রতন সিংহের ছেলে দ্বীপ সিংহ; বাইতুল হলদারের ছেলে রনি মহালদার; মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে সারফরাজ ইসলাম; আলেক শেখের ছেলে আসলাম শেখ এবং মেনাউলের ছেলে ওলিল মহালদার। ৫৩-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির উজ জামান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন൲।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও বিজিবি ভারতীয়দের ফেরত দিতে রাজি হয়নি। বিএসএফের এক শীর্ষ কর্মকর্তা দাবি করেন, ১৭ আগস্ট রাতে মালদার নদী 𒁏সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচারকৃত গবাদি পশু উদ্ধারের জন্য দুই নৌকা ব্যবহার করেছিলেন ১১৫ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ সদস্যরা। একটি নৌকায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সেটি স্রোতের টানে ভেসে যায়। দ্বিতীয় নৌকা সেটি টেনে আনার চেষ্টা করছিল, কিন্তু প্রবল স্রোতের কারণে উভয় নৌকা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। সেখানে পাঁচজনকে আটক করে বিজিবি।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সদর দপ্তর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিজিবিকে ফোন করে বিষয়টি জানান। তবে বিজিবি সদস্যরা আটক ভারতীয়দের ছেড়ে দিতে অস্বীকার করলে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফ কর্মকর্ত🎃ারা দাবি করেন, অনুপ্রবেশটি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ‘ভুলক্রমে’ ঘটেছে এবং তাদের কোনো ‘খারাপ উদ্দেশ্য’ ছিল না। তারা দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে আটক ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
তবে ‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির’ কারণে বিজিবি ভারতীয়দের ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে পাঁচ ভারতীয়কে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) এ কে আর্য বলেন, পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকবার পতাকা বৈঠক 𓄧অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজিবিকে সুসম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে ভারতীয় মাঝিদের ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করা হয়, কিন্তু তারা এতে রাজি হয়নি। বিজিবি এই প্রথমবার ‘অসাবধানতাবশত’ বাংলাদেশে🃏 ঢুকে পড়া ভারতীয় মাঝিদের ফেরত দেয়নি।