• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১, ৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


অস্ত্রোপচারে বাংলাদেশিদের কিডনি অপসারণ, চিকিৎসক গ্রেপ্তার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
অস্ত্রোপচারে বাংলাদেশিদের কিডনি অপসারণ, চিকিৎসক গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

সেবার মান ভালো বিবেচনায় প্রতিদিনই চিকিৎসার জন্য বহু মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারত যান। এর মধ্যে অনেকেই প্রতারিত হন বিভিন্ন দালাল দ্বারা। আবার কেউ কেউ অভিযোগ তোলেন হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের ওপর। এবার নয়াদিল্লিভিত্তিক ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপারেশনের নামে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তির কিডনি সরানোর অভিযোগে।
বাংলাদেশ ও ভারতে কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালের এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। ৫০ বছর বয়সী ওই নারী চিকিৎসকের নাম বিজয়া কুমারী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, দিল্লির কাছাকাছি নয়ডা শহরের ‘যথার্থ হাসপাতাল’–এ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ডা. বিজয়া অন্তত ১৬ জনের কিডনি অপসারণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাদের কিডনি অপসারণ করেছেন, তাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি। কিডনি পাচারকারী চক্রের সদস্য হিসেবে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনি এসব অস্ত্রোপচার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চক্রটি বেশ সক্রিয়। তারা ‘থার্ড পার্টি’ বা দালালের মাধ্যমে দরিদ্র বাংলাদেশিদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে দিল্লির আশপাশের এসব হাসপাতালে নিয়ে আসত। হাসপাতালগুলোর কয়েকজন চিকিৎসক এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। তারাই কিডনি অপসারণ করতেন। 
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গত তিন মাসে কিনডি পাচারকারী চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। ডা. বিজয়া কুমারী চতুর্থ ব্যক্তি যিনি এই অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন।
দিল্লিতে বেশ কয়েকটি চক্র সক্রিয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডা. বিজয়া যে চক্রের সদস্য, সেই চক্রের বেশির ভাগই বাংলাদেশি। এমনকি গত তিন মাসে যে তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তারাও বাংলাদেশি।
অর্থের বিনিময়ে অঙ্গ প্রতঙ্গ বিক্রি করা ভারতে নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে স্বেচ্ছায় কিডনি আদান-প্রদানে ভারতীয় আইনে কোনো বাধা নেই। এ ক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতাকে তাঁদের নাম-পরিচয়সহ যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হয়।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চক্রটি দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে অপারেশন সংক্রান্ত ভুয়া নথি জমা দিত। ইতিমধ্যে পুলিশ কিছু ভুয়া নথি জব্দও করেছে।
দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও কিডনি প্রতিস্থাপনবিষয়ক সার্জন হিসেবে কাজ করতেন ডা. বিজয়া কুমারী। তিনি নয়ডার যথার্থ হাসপাতালেও ভিজিটিং কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন।
যথার্থ হাসপাতালের অতিরিক্ত মেডিকেল সুপারিটেন্ডেন্ট সুনীল বালিয়ান বলেন, ‘ডা. বিজয়া যেসব রোগীর কিডনি অপসারণ করেছেন, তারা কেউই যথার্থ হাসপাতালের রোগী ছিলেন না। ভিজিটিং কনসালটেন্ট হিসেবে তিনি হাসপাতালে রোগী ভর্তির সুপারিশ করতে পারতেন। যে ১৫–১৬ জন বাংলাদেশির কিডনি তিনি অপসারণ করেছেন, তাদের সবাইকে তার সুপারিশেই ভর্তি করা হয়েছিল।
সুনীল বালিয়ান আরও জানান, এরই মধ্যে ডা. বিজয়াকে সামꩲয়িক বরখাস্ত করা হয়েছ🦩ে। তিনি ছাড়া যথার্থ হাসপাতালের আর কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে সড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

Link copied!