গাজার দক্ষিণ অঞ্চলে✅ অবস্থিত রাফায় হামলা শুরুর এক সপ্তাহের মাথায় ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, যেকোনো মুহূর্তে অভিযান শুরু হতে পা🃏রে। এ জন্য রাফার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের আল-মাওয়াসির বর্ধিত মানবিক এলাকায় সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১২ মে) রয়টার্স জানাღয়, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া, আশপাশের ১১টি এলাকার বাসিন🐎্দা এবং আশ্রিতদের দ্রুত গাজা সিটির পশ্চিম দিকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাফার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী রাফার যেসব এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে বলেছে, এসব এলাকায় এখন খুবই কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাসিন্দারা নিজেদের বাড়িঘর ছাড়তে শু𒀰রু করেছেন।
স্থল অভিযান শুরু করা নিয়ে এখনও আন🗹ুষ্ঠানিক কোনো বক্𒁃তব্য দেয়নি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে তারা জানিয়েছে, রাফার পূর্বাঞ্চল এবং রাফা ক্রসিংয়ের গাজা অংশে হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর সক্রিয় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত অক্টোবরে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার জবাবে শুরু হওয়া যুদ্ধ সাত মাসের বেশি পেরিয়ে গেছে। এত দিন গাজার অন্যান্য অঞ্চলে হামলা হলেও অনেকটা রক্ষিত ছিল মিশর সীমান্তবর্তী নগরী রাফা। এ সময়ের ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি এই ♈ছোট শহরে আশ্রয় নিয়েছে। গত ৬ মে গাজার রাফায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
এদিকে রাফায় হামলা না চালাতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আহ্বান জানিয়েছেন। নেতানিয়াহু প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ মিত্র বাইꦫডেন প্রশাসনও ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে। মাಌর্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ওয়াশিংটনের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে রাফায় স্থল অভিযান চালালে তেল আবিবে অস্ত্রের চালান স্থগিত করবে যুক্তরাষ্ট্র।
নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল ইসরায়েল সরকার মনে করে, হাজার হাজার হামাস যোদ্ধা রাফায় অবস্থান নিয়েছে। সেখানে অভিযান ছাড়া গাজায় তাদের লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব।