ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির পরিবার দেশটির পুঁজিবাজারে গোপনে কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ এই ধনকুবের এর মাধ্যমে নিজেদের শেয়ার বিভিন্ন প﷽্রতিষ্ঠানের নামে কিনে নিয়ে বাজার প্রভাবিত করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
ওসিসিআরপির প্রতিবেদনে বলা হয়, আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে কয়েক কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছিল মরিশাসের একটি তহবিল থেকে। সেই তহবিলের সঙ্গে যুক্ত ছিল আদানি পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী অংশীদাররাই। এ ছাড়া আদানি পরিবারের সহযোগীরা কয়েক বছর ধরে সতকর্তার সঙ্গে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনে নেওয়ার কাজটি করেছিলেন। এমন কর্মকাণ্ডের ফলে আদানি গ্রুপের শেয়ারের মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে যায়।
২০২২ সালে একপরಌ্যায়ে আদানি গ্রুপের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। তখন গৌতম আদানি ভারতের সবচেয়ে ধনী এবং বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি⛄ হয়েছিলেন।
এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নিউইয়র্কের আর্থিক গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবারꦰ্গ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপকে শেয়ারবাজার জালিয়াতির জন্যꩲ অভিযুক্ত করে। তখন সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন গৌতম আদানি। তবে অভিযোগ ওঠার পর গ্রুপটির বাজার মূলধন হ্রাস পায় প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার। সেই অভিযোগ নিয়ে চলমান তদন্তের মধ্যেই এবার সামনে এসেছে ওসিসিআরপির প্রতিবেদন।
এদিকে আদানি গ্রুপের অস্বচ্ছ লেনদেন নি𒈔য়ে তথ্য দিয়েছে ওসিসিআরপি। তারা জানায়, অন্তত দুটি ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে অস্বচ্ছভাব𝐆ে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার কেনাবেচা করা হয়েছে।
ওসিসিআরপির প্র꧂তিবেদনকে ভিত্তিহীন বলেছে আদানি গোষ্ঠী। তাদের দাবি, ওসিসিআরপি-র প্রতিবেদনে মরিশাসের যে ফান্ডের কথা বলা হচ্ছে, সেটা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টেও ছিল। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট থেকেই তুলে এনে তা প্রকাশ করেছে ওসিসিআরপি।