২০১৭ সালে পর্তুগালে চরমꦉ তাপপ্রবাহ ও দাবানলে ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। সেই সময়ের কথা স্মরণ করে ক্লডিয়া ডুয়ার্তে অগোস্টিনহো বলেন, “আমি যা অনুভব করেছি, তা ছিল ভয়। দাবানল আমাকে সত্যিই উদ্বিগ্ন করে 🐬তুলেছিল যে আমার ভবিষ্যৎ কেমন হবে।”
ক্লড🌞িয়া (২৪), তার ভাই মার্টিম (২০)🐭 ও তার বোন মারিয়ানা (১১) ছয়জন তরুণ পর্তুগিজদের মধ্যে রয়েছেন, যারা সব ইইউ সদস্য রাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, রাশিয়া, সুইজারল্যান্ড, তুরস্কসহ ৩২টি দেশের সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
তারা অভিযোগ করেছেন দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অপর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক উষ্൲ণায়ন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সꦇীমাবদ্ধ রাখতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ কমাতে ব্যর্থ হয়েছে।
স্ট্রাসবার্গের ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ হিউম্য👍ান রাইটসে (ইসিএইচআর) এই ধরনের প্রথম মামলা করা হলো৷ এটি সফল হলে, জড়িত সরকারগুলোর জন্য এটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। বুধবার এই মামলার🦂 প্রথম শুনানি।
১১ থেকে ২৪ বছর বয়সী ছয়জন বাদী যুক্তি দেন যে ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর পর্তুগালে যে দাবানল হচ্ছꦍে, ত♏া সরাসরি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণেই হচ্ছে।
𓆉ছবি : ২০১৭🦹 সাল থেকে প্রতি বছর পর্তুগালে দাবানল হচ্ছে (সংগৃহীত)
তারা দাবি করেন, তাদের মৌলিক মানবাধিকার - জীবন, গোপনীয়তা, পারিবারিক জীবন ও বৈষম্যমুক্ত থাকার অধিকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদꦰ্ধে লড়াই করতে সরকারের অনীহার কারণে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
তারা বলেন, ইতোমধ♔্যে তারা উল্লেখযোগ্য প্রভাবের সম্ඣমুখীন হয়েছেন। বিশেষ করে পর্তুগালের চরম তাপমাত্রার কারণে তাদের বাড়ির ভেতরে সময় কাটাতে বাধ্য করা হয়েছে এবং তাদের ঘুম, মনোনিবেশ বা ব্যায়াম করার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। কেউ কেউ পরিবেশজনিত উদ্বেগ, অ্যালার্জি, হাঁপানিসহ শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাতেও ভুগছেন।
তরুণ আবেদনকারীদের কেউই আর্থিক ক্ষতিপূরণ চাইছেন না। ১১ বছর বয়সী মারিয়ানা বলেন, “আম𝔉ি দূষণমুক্ত একটি সবুজ পৃথিবী চাই, আমি সুস্থ থাকতে চাই। আমি এই মামলায় আছি কারণ আমি সত্যিই আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। আমি ভয় পাচ্ছি যে আমরা যেখানে থাকব, সেই জায়গাটি কেমন হবে।”
ক্লডিয়া জানান, যে মারিয়ানা হেলিকপ্টার ওড়ার শব্দ শুনলে এখনো ভযꦦ় পান। এটি তাকে ২০১৭ সালের অগ্নিনির্বাপকদের কথা মনে করিয়ে দেয়। যখন ৫০ হাজার একর বন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং দাবানলের ছাই মারিয়ানাদের ঘরে পড়েছিল।