• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


দাবানলে আলজেরিয়া, ইতালি ও গ্রিসে নিহত ৪০


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৩, ০৪:১৩ পিএম
দাবানলে আলজেরিয়া, ইতালি ও গ্রিসে নিহত ৪০

টানা তাপপ্রবাহের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ দাবানলে ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ৩ ꦓদেশ আলজেরিয়া, ইতালি এবং গ্রিসে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত প্রায় এক সপ্তাহ আগে সৃষ্ট এই দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছে ৩ দেশের কর্তৃপক্ষ।

এ কারণে বিভিন্🦩ন গ্রাম ও ছুটি কাটানোর রিসোর্ট হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া হাজার হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রোডস দ্বীপ থেকে আর𒊎ও বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে গ্রিস। রোডসের বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানিꦑয়েছেন, এই লোকজনের মধ্যে একটি বড় অংশই পর্যটক এবং রোববার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে ৪০টিরও বেশি জরুরি ফ্লাইটে চেপে রোডস ছেড়েছেন অন্তত ৫ হাজার পর্যটক।

বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, দেশটির করফু ও ইভিয়া দ্বীপও দাবানলে পুড়ছে। বর্তমান তাপপ্রবাহের ভিত্তিতে আবহাওয়াবিদদের ধারণা, গ্রিসের কিছু অংশে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে যেতে পারে। প্রবল বাতাস এবং খটখটে শুকনা♎ গাছপালার কারণে আগুন নেভানোর কাজ কঠিন হয়ে উঠেছে।

স্মরণকালের ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ সিসিলি। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে একরের পর একর বনাঞ্চল। এখনো সক্রিয় রয়েছে অন্তত সাড়ে ৬০০ দাবানল, যা নিয়ন্ত্রণে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে দমকলবাহিনী। ব্যবহার করা হচ্ছে হেলিকপ্টারও। তবে বাতাসের বেগ বেশি থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছে না। পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পালের্মোতে ছুটি কাটাতে গিয়ে সত্তরোর্ধ্ব এক দম্পতি প্রাণ হারিয়েছেন। ওই শহরেরꦦ পাশেই ৮৮ বছর বয়সী আরেক নারী প্রাণ হারিয়েছেন। গত সোমবার কাতানিয়ায় তাপমাত্রা ৪৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যায়। সেখানে পানি ও বিদ্যুতের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। গতকাল ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ কর্সিকাতেও দাবানল শুরু হয়েছে।

ইতালির বেসামরিক সুরক্ষামন্ত্রী নেল্লো মুসুমেকি বিবিসিকে বলেন, ‘ইতালির এক অংশ দাবানলে পুড়ছে, অপর অংশে নিয়মিত হচ্ছেꦿ ঝড়-টর্নেডো। গত কয়েক দশকের মধ্যে এমন জটিল আবহাওয়াগত বিপর্যয় আমরাꦛ দেখিনি।’

এদিকে দাবানলে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে আলজেরিয়ায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বেজাইয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনেরও বেশি মানুষের। এই মৃতদের মধ্যে ১০ জন সেনাস🥂দস্যও রয়েছেন। গত কয়েকদিনে দাবানলে বেজায়া ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী এই প্রদেশটি এর আগে কখনো এত বিস্তৃত-ভয়াবহ দাবানল দেখেনি।

এ বিষয়ে আলজেরিয়ান কর্তৃপকꦗ্ষ জানিয়েছে, রোববার থেকে ৮০ শতাংশ দাবানল নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া একটি বিশাল অগ্নিনির্বাপক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রায় আট হাজার কর্মী, কয়েক শ’ অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ও কিছু বিমান আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত আছে।

ভূমধ্যসাগরীয় অপর দেশ এবং আলজেরিয়ার প্রতিবেশী তিনিউনিসিয়াতে൲ও ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। দেশটির উপকূলীয় গ্রাম মেল্লোউলা থেকে ৩💛০০ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা। তবে এখন পর্যন্ত তিউনিসিয়ায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

গ্রিসের অর্থনীতির একটি শক্তিশালী খাত পর্যটন। দেশটিতে প্রতি ৫টি চাকরির একটি পর্যটনসংক্রান্ত। কিন্তু দাবানলের কারণে চলতি মৌসুমের পর্যটন খাতে র👍ীতিমতো ধস নেমেছে। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশ ইতোমধ্যেই নাগরিকদের গ্রিস ভ্রমণের ব্যাপ🍸ারে সতর্কবার্তা দিয়েছে।

Link copied!