ফিলিস্তিনের গাজা উপ💮ত্যকায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের🐷 মোট সংখ্যা ৪৩ হাজার ৩৪০ ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে🌸 𝕴বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ಌগাজা উপত্যকায় ইসরা🤡য়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে গাজার উত্তরাঞ্চলে।
এই অঞ্চলে হামাস পুনঃসংগঠিত হচ্ছে দাবি করে তাদের বাধা দেওয়ার লক্ষ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সেখানে মাসব্যা🌃পী অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৩৪১ জনে পৌঁছেছে বলে রোববার অবᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚরু🎉দ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্🏅ত্রণালয় এক বিবৃতিত♚ে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ২ হাজার ১০৫ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায🧜়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ২৭ জন নিহত এবং আরও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরাไ তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃ🔥প🐷ক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অ🀅ক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্꧟য হয়🥃েছেন।
মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিস♌ংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণে๊র কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যে♈ই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।