ইসরায়েলি গণহত্যায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে মাইক্রোসফটে🔜র সদর দপ্তরে শোকসভা আয়োজনের জেরে চাকরি হারিয়েছেন দুই মিসরীয় বংশোদ্ভূত কর্মী। তবে, মাইক্রোসফট এই সমাবেশকে `অননুমোদিত` বলে 𒐪আখ্যায়িত করেছে।
সোম🌺বার (২৮ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।
এই দুই কর্মী ওয়াশিংটনের রেডমন্ডে অবস্থিত মাইক্রোসফটের সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার এই শোকসভার আꦇয়োজন করেছিলেন।
আবদো মোহামেদ ও হোসাম নাসের `নো অ্যাজিউর ফর আপারথেইড` নামে 🥂একটি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।𝄹 এই বিক্ষোভের মূল দাবি, ইসরায়েলি সরকারের কাছে মাইক্রোসফটের ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি অ্যাজিউর বিক্রি করা যাবে না।
আবদো মোহামেদ এপিকে জানান, `কর্মীরা একত্র হয়ে নিজেদের মধ্যে শোক ভাগা♔ভাগি করে নিতে চেয়েছিল, কিন্তু মাই♛ক্রোসফট এই সামান্য সুবিধাটুকু দিতে ব্যর্থ হয়েছে।`
মোহামেদ জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে ꧙নতুন চাকরি না পেলে তাকে মিসরে ফিরে যেতে হবে🎀।
নাসের বলেন, এই শোকসভার উদ্দেশ্য ছিল গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) তাদের প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে `এই গণহত্যার প্রতি মাইক্রোসফটের নীরব সমর্থন𓄧ের` বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরা।
ইনস্টাগ্রামের পোস্টে নাসের মাইক্রোসফটকে `অশুভ জায়নিস্ট প্রতিষ্ঠান` বলে উল্লেখ করেন, যারা `গণহত্যায় মদদ যোগাচ♛্ছে এবং একে আরও শক্তিশালী আকার ধারণে সহযোগিতা করছে।ꩵ`
নাꦓসেরের সামাজিক মাধ্যম পোস্ট থেকে জানা গেছে, মাইক্রোসফট এর আগেও তার বিরুদ্ধ🐼ে নানা অভিযোগে একাধিকবার অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালিয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনলাইনে ইহুদিবিদ্বেষী মিম ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
নাসের🌺 জানান, মাইক্রোসফট তাকে কল করার এক ঘণ্টায় আগেই `স্টপ অ্যান্টি সেমাইটিসম` নামের অনলাইন গ্রুপ সামাজিক মাধ্যমে তাকে বরখাস্তের বিষয়ে পোস্ট করে।
নাসেরের সামাজিক মাধ্যমে অসংখ্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট রয়েছে বলে জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে 🌟উল্লেখ করা হয়েছে।
🎃এই ঘটনা সূত্রে দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (কেয়ার) নামের অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের ওয়াশিংটন স্টেট চ্যাপ্টার (কেয়ার-ডব্লিউএ) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে মাইক্রোসফটকে এই দুই কর্মীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়ে তাদেরকে আবারও চাকরিতে পুনর্বহালের আহ্বান জানানো হয়েছে।
ꦓকেয়ার-ডব্লিউএ`র নির্বাহী পরিচালক ইমরান সিদ্দিকি বলেন, “বিবেকবান কর্মী, যারা বর্তমান সময়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার, তাদেরকে কর্পোরেট দুনিয়ায় নিশ্চুপ করে দেওয়ার এটি আরেকটি উজ্জ্বল উদাহরণ।”
কেয়ারের জাত൲ীয় নির্বাহী পরিচালক নাহিদ আওয়াদ বলেন, “অন্য যেকোনো প্রেক্ষাপটে, একটি কর্পোরেশন মানবাধিকারের পক্ষে ও গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া কর্মীদের সাধুবাদ জা🌌নাবে। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু ফিলিস্তিন।”