জীবন নিংড়ে শব্দ সাজিয়ে কবিতা বানানোর কবি আবুল হাসান। স্বভাবে বোহেমিয়ান এ সৃষ্টিমান বেঁচে ছিলেন মাত্র ২৮ বছর। কিন্তু কে হারাতে চায় এ ভুবন? আর আসলে কি কেউ হারায়? শিল্পের যোগ্যতায় সৃষ্টি🌊 টিকে থাকে অনন্তকাল। কবি আবুল হাসানের পঙ্ক্তি তাই এমন—
মারী ও মড়কে যার মৃত্যু হয় হোক, আমি মরি নাই,
শোনো, কেউ কোনোদিন কোনো অস্ত্রে আমার আত্মাকে দীর্ণ মারতে পারবে না।
অথচ মরণব্যাধির সংক্রমণে শেষ দ🥂ি🥃কে লাবণ্যময় পাথুরে কবির উচ্চারণ ছিল ভিন্ন,
মৃত্যু আমাকে নেবে, জাতিসংঘ আমাকে নেবে না,
আমি তাই নিরপেক্ষ মানুষের কাছে, কবিদের সুধী সমাবেশে
আমার মৃত্যুর আগে বলে যেতে চাই,
সুধীবৃন্দ ক্ষান্ত হোন, গোলাপ ফুলের মতো শান্ত হোন
কী লাভ যুদ্ধ করে? শত্রুতায় কী লাভ বলুন?
আধিপত্যে এত লোভ? পত্রিকা তো কেবলই আপনাদের
ক্ষয়ক্ষতি, ধ্বংস আর বিনাশের সংবাদে ভরপুর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ꧒শিক্ষক সুরাইয়া খানমের প্রেমে পড়েছিলেন হাসান। সে সময়ের ছোট্ট ঢাকায় বিষয়টি আলোচিত ছিল। আবুল হাসানের মৃত্যুর পর দেশত্🐷যাগ করেন সুরাইয়া খানম।
অমিত🍎 কাব্যশক্তির অধিকারী আবুল হাসানকে একাধারে প্রেম, দ্রোহ, নগর জীবন ও ভণ্ডামির মুখোশ উন্মোচনকারী কবি হিসেবেই শনাক্ত করা যায়। খুব সহজ, বোধগম্য তার কাব্যভাষা। অল্প আয়ুতেও কাব্য-আঙিনায় যার প্রভা𒁃ব-ছায়া দীর্ঘ।
বস্তুত মানুষ বাঁচে ꦉসমষ্টির ভেতর। প্রাণহীনতায় কিছু আসে যায় না। কবি আবুল হাসান তরতাজা তাই আজও। ১৯৪৭ সালের আজকের দিন ৪ আগস্ট জন্ম আবুল হাসানের। শুভ দিনে কবির প্রতি অনন্ত শ্রদ্ধা।