নারীরা সাধারণত যে ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে একটি হলো ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের 𓄧ক্যান্সার । আর এই ক্যানসারকে বলা হয় নীরব ঘাতক। এটি সুস্পষ্ট কোনো লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়াতে পারে। সাধারণত মেনোপজের পর এ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এই ক্যানসার প্রথমদিকে শনাꦏক্ত করা যায় না। অধিকাংশ রোগীই টের পান না তিনি এই ক্যানসারে ভুগছেন।
ওভারিয়ান ক্যানসারের লক্ষণ
এই ক্যান্সার ডিম্বাশয়কে সংক্রমিত করে এবং য༺তক্ষণ পর্যন্ত পেলভিক জোনে (শ্রোণি এলাকা) এবং পেটে না ছড়ায় ততক্ষণ পর্যন্ত এটি বুঝা যায় না।
- ডিম্বাশয়ে ক্যানসারে হলে খাদ্য হজম প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে ক্ষুধা কমে যায় ও পেট ভরা ভরা লাগে সব সময়। পেট ফুলে যায়।
- এসময় বমি বমি ভাব হয় আবার কারও কারও বমি হয়।
- ঋতুস্রাবের সময়ে তলপেটে, কোমরে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ঋতুস্রাব শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যদি এই ব্যথা থেকে যায় বা বার বার ব্যথা হতে থাকে তা ওভারিয়ান ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
- ভারিয়ান ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ হল অনিয়মিত পিরিয়ড। আবার যোনিপথে হঠাৎ রক্তপাত হওয়াও ভালো লক্ষণ নয়। তবে অনেক সময় ডিম্বাশয়ের সিস্টের জন্যও অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে।
- অনেকে পেটে চাকা অনুভব করে।
- হঠাৎ ওজন কমতে শুরু করা, ঘন ঘন প্রস্রাব, পেলভিস এরিয়ায় ঘন ঘন ব্যথা, যোনি পথের আশেপাশের চামড়ার রং পরিবর্তন বা ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
- পেলভিস অঞ্চলে ব্যথা, পানি খুব বেশি না খেয়েও ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়াও ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
কীভাবে শনাক্ত করা হয়?
রক্ত পরীক্ষা, ল্যাপারোস্কপি, আলট্রাসনোগ্রাফি বা সিটি স্ক্যান, ক্যানসার মার্কার, পেট বা ফুসফুসের পানি পরীক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে রোগটি নির্ণয় করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ও চিকিৎসা করা হলে পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যেই রোগী ৯০ শত🐟াংশ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
চিকিৎসা
বয়স ও রোগের স্টেজের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি ও হরম💯োন থেরাপি দেওয়া হয়।
গবেষণায় দে🤡খা যায়, যেসব নারী সন্তানকে বুকের দুধ দেন তাদের মাঝে ওভারিয়ান ক্যানসারে হওয়ার প্রবণতা কম। তবে উপরোক্ত লক্ষণ থাকলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হ🌠তে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে চিকিৎসায় অনেকাংশে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।