রক্তদান করা শ্রেষ্ঠ কাজ। রক্ত দিয়ে কারও জীবন রক্ষা করাটাই মানবিক মানুষের ধর্ম। যেকোনো পরিণত মানুষই শারীরিক ও🏅 মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে রক্ত দান করতে পারবেন। চিকিৎসকদের মতে, যে রক্তটুকু দেওয়া হয়, তিন মাসের মধ্যে🍬ই সেই পরিমাণ রক্তের উপাদান আবার পূরণ হয়ে যায়।
প্রতিটি রক্তদান কেন্দ্রে রক্তদানের সক্ষমতা যাচাই করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট ফরম থাকে, যা রক্তদাতা নিজে পূরণ করবেন। আপনি যদি দাতা হয়ে থাকেন তাহলে 🍸ফরমটির নির্দেশনা খুব ভালো করে বুঝে তারপর রক্ত দিন। অনেকেরই জানা থাকে না কাদের রক্তদান থেকে বিরত থাকা উচিত। সেটিই আজ জানিয়ে দেবো।
বয়স ১৮ বছরের নিচে বা ৬০ বছরের বেশি মানুষের রক্তদান কার উচ👍িত নয়। এছাড়াও ওজন ৫০ কেজির কম হলে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকলে রক্ত দিতে পারবেন না। রক্ত দেওয়ার সময় সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, ফ্লু বা অন্য কোনও রোগের সংক্রমণ হয়ে থাকলে রক্ত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
দাঁতের কোনও চিকিৎসা চললে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রক্ত দেওয়া যাবে না। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১২ গ্রাম/ডিএলের নিচে থাকলে দেওয়া যাবে🐭 না। রক্তচাপ ডায়াস্টোলিক ৫০ থেকে ১০০ এবং সিস্টোলিক ১০০ থেকে ১৮০ মিমি মার্কারি সীমার বাইরে থাকলে এবং শরীরের তাপমাত্রা ৩৭.৫ ডিগ্রির ওপরে গেলে রক্ত দেবেন না।
হৃদরোগ, ক্যানসার, কিডনির অসুস্থতা, অ্যাজমা বা শ্বাসযন্ত্রের অসুবিধা, টিবি, অ্যালার্জি থাকলে অথবা যেকোনো মানসিক ব্যাধি থাকলে রক্ত দেওয়া যাবে ♒না। ডায়াবেটিস বা থাইরয়েডের সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিও রক্ত দিতে পারবেন না।
কোনও টিকা গ্রহণের এক মাসের মধ্যে দেওয়া যাবে না। গর্ভাবস্থায় ও ব্রেস্📖ট ফিডিং করানোর সময় রক্ত দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া গর্ভপাতের ছয় মাসের মধ্যেও রক্ত না দেওয়াই ভালো।