‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন নতꦛুন কোনো গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি না হয়।’ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এই আশা ব্যক্ত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রী🥂য় সমন্বয়ক ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
শনিবার ( ৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় শাবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবন-১-এর এক সম্মেলন কক্ষে বৈ♌ষম্যব🐽িরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, “প্রায় দুই হাজার প্রাণ ও অর্থ লক্ষ্য মানুষের র🅷ক্তের বিনিময়ে নতুন যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি, সেই জায়গা থেকে একটা বিশ্ববিদ্যালয় যে পরিবর্তনটা প্রত্๊যাশা করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে পরিবর্তনটা চায় সেটা যেন কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে হারিয়ে না যায়। এত রক্ত, এত স্বপ্ন এত প্রত্যাশা এতকিছুর বিনিময়ে অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়টা যেন শিক্ষার্থীদের হয়ে উঠে।”
জুলাই ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমাদের যে সম্মানিত শিক্ষকরা রয়েছেন, তারা তাদের সম্মানের সে আসনটা যেন ধরে রাখেন। শিক্ষকতা পেশা আমাদের কাছে অনেক বেশি সম্মানের। তারা যেন রাজনীতিবীদ না হয়ে শিক্ষক হয়ে উঠেন। তা না ♐হলে তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু থাকে না। যা আমরা গত ১৬ বছর ধরে দেখে আসছি।”
সারজিস আলম বলেন, “বিগত ১৬ বছরের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির প্রভ💛াবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিস্টেমগুলো এক প্রকার ভেঙে গিয়েছিল। সেই জায়গা থেকে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে নতুন ভাবে, নতুন আঙ্গিকে নতুন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী⭕র দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন জিম্মি না হয়।”
সারজিস আলম আরও বলেন, “আমরা অবশ্যই চাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেতৃত্ব তৈরি হউক। জাতীয় রাজনীতিতে মেধাবীরা আসুক। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় লেজুরবৃত্তিক রাজনীতির বাইরে গিয়ে শাবিপ্রবিতে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু হউক। এতে উপরের কোনো নেতার তোষামোদি করতে হবে এমন নেতা তৈরি হবে না। যারা ছাত্র প্রতিনিধি হবেন, তারা শিক্ষার্থীদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এই দায়বদ্ধতার চর্চা যদি ছাত্র অবস্থায় থেকে শুরু হয়, তাহলে তা জাতীয় রাজনীতিতে প্রয়োগ করা যাবে; নয়তো কলুষিত যে স♑িস্টেম তা থেকে আমরা কখনোই বের হতে পারব না।”