এই সময় প্রায় সারা দেশেরই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে থাক𒅌ে। ফলে বাড়ছে গরম। সঙ্গে বাড়ছে হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই গরমে সবাইকেই থাকতে হবে সতর্ক। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে সব ধরনের ঝুঁকি। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতন ও সতর্ক থাকার বিকল্প নেই।
বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের শরীরও গরম হয়ে যায়। প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিট স্ট্রোক বলে। সাধারণত শিশু, বয়স্ক, দিনের বেলা🍬য় প্রচণ্ড রোদে কায়িক পরিশ্রম করেন যারা আবার যারা বিষণ্নতার ওষুধ, মানসিক রোগের ওষুধ খান তাদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে।
- হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো-
- শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়।
- হিট স্ট্রোকের একটি লক্ষণ হল প্রচণ্ড গরমেও ঘাম না হওয়া। সাধারণত এর মানে হচ্ছে, শরীরে ঘাম হওয়ার মতো পানি আর নেই বা শরীরের প্রাকৃতিক শীতল প্রক্রিয়াটি কাজ করছে না।
- প্রচণ্ড গরমে মাথাব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া গরমে মানুষের মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী শ্বাস-প্রশ্বাসও হিটস্ট্রোকের লক্ষণ।
- ত্বক শুষ্ক ও লালচে হয়ে যায়।
- হিট স্ট্রোকের আগে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হতে পারে বা কমে যেতে পারে।
- রক্তচাপ কমে যায়।
- মাথাব্যথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের অভাব ইত্যাদির কারণে বমি বমি হতে পারে।
- খিঁচুনি, মাথা ঝিমঝিম করা, অস্বাভাবিক আচরণ, হ্যালুসিনেশন, কথা জড়িয়ে যাওয়া বা অসংলগ্নতা ইত্যাদি হতে পারে
- প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়।
- শরীরে আরও ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে।
আক্রান্ত হলে করণীয়
- হিট স্ট্রোক হলে দ্রুত শীতল কোনো স্থানে নিয়ে যান। সবচেয়ে ভালো হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে যেতে পারলে।
- এমন সময় শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাবে। এমন অবস্থায় শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য শীতল ও ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক ব্যবহার করুন।
- শ্বাস এবং সঞ্চালনের উপর নজর রাখুন। যদি অজ্ঞান হয়ে যায় বা শ্বাস নেওয়া বন্ধ হয়ে যায় তবে দ্রুত জরুরি চিকিৎসা সহায়তা নিন।
- ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে ফেলুন। সম্ভব হলে গোসল করান। সম্ভব হলে কাঁধে, বগলে ও কুচকিতে বরফ দিন।
- প্রচুর পানি ও খাবার স্যালাইন বা ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় পান করাতে পারেন। চা বা কফি থেকে বিরত থাকবেন।