অনেক সময় শিশু জন্ম গত ভাবে কিছু রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এর মধ্যে হৃদরোগ একটি। সাধারণত হাজারে ৮ থেকে ১০টি শিশু জন্মগত হৃদ্রোগ নিয়ে জন্মায়। তাদের মধ্যে অনেকেরই অস্ত্রোপচার করতে হয়। কিন্তু আগে তো জানতে হবে নবজাতকের হৃদরোগ আছে কি না। সেটা জানতে হলে🧜 আগে কিছু লক্ষণ খেয়াল রাখতে হবে।
হৃদপিণ্ডে চারটি কুঠুরি থাকে, এরমধ্যে উপরে দুটি কুঠুরিকে অলিন্দ্য এবং নিচের দুটি কুঠুরিকে নিলয় বলা হয়। অলি🀅ন্দ্যের মাঝখানﷺে একটি পর্দা থাকে, এই পর্দার মধ্যে যদি ছিদ্র থাকে, তাহলে লক্ষণগুলো একটু দেরিতে প্রকাশ পায়। একইভাবে নিলয়ের মাঝখানে যে পর্দা থাকে, তার মধ্যে যদি ছিদ্র থাকে, তাহলে লক্ষণগুলো একটু দ্রুত প্রকাশ পায়।
যেমন-
- শিশু খেতে চাচ্ছে কিন্তু সে পুরোপুরি শক্তি দিয়ে টেনে খেতে পারছে না। অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে।
- জন্মগত হৃদ্রোগে শিশু নীল হয়ে যায়। কখনো কখনো নীল রঙের নখ বা ঠোঁট দেখা যায়। শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ কম থাকে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন থাকলেও শরীরে অস্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হয়। হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র, ভালভের সমস্যা বা হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতার সমস্যায় এ রকম ঘটে।
- দ্রুত বা কষ্টকর শ্বাস প্রশ্বাস হতে পারে।
- ওজন বৃদ্ধি না পাওয়া
- কখনো কখনো অচেতন হয়ে পড়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
রোগনির্ণয় পদ্ধতি
জন্মের আগেও শিশুর হৃদরোগ সনাক্ত করা যায়। গর্ভাবস্থায় মায়ের আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান করার সময় কিছু জন্মগত হৃদরোগ সমস্যা শনাক্ত করা যায়। তবে সবসময়♔ এভাবে সনಌাক্ত করা যায় না।
নবজাতকের হৃদরোগ রোগনির্ণয়ে বুকের এক্স-রে, ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রামের দরকা﷽র হয়। এ ছাড়া কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশন, সিটি বা এমআরআই অব হার্ট ꦿব্যবহার করা হয়।