বলিউড ডিভা সারা আলি খান ধর্মনিরপেক্ষ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। তার বাবা সাইফ আলি খান বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা ও একজন মুসলমান। যদিও মা অমৃতা সিং একজন হিন্দু। যদিও দুজনের ধর্মের বিশ্বাস নিয়ে পার্থক্য রয়েছে।
তবে সারা তার পুরো নাম লেখেন সারা আলি খান।
ছোট থেকেই সারাকে প্রশ্ন শুনতে হয়েছে, কোন ধর্ম অনুসরণ করেন তিনি? বাবার মুসলিম ধর্ম নাকি মায়ের হিন্দু ধর্ম? বহুবার পদবী হিসাবে `আলি খান` ব্যবহার করা এবং সেই সঙ্গে মন্দিরে যাওয়ার জন্য ট্রোল হতে হ🍷য়েছে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে, অভিনেত্রী তার পদবী প্রসঙ্গে নানা কথা বলেছেন।
নবাবকন্যা জানালেন, অতীতে তার ধর্মী𝕴য় বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্নে উঠলে তিনি বির꧅ক্ত হতেন। তবে এখন এসব নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি মনে করেন এগুলো একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। কে কী ভাবছে, কী বলছে তাতে কিছু আসে যায় না।
সারা বলেন, ‘আমার ধর্মীয় বিশ্বাস, কী পছন্দ, আমি কীভাবে বিমানবন্দরে যাবো, এই সবই আমার সিদ্ধান্ত। এজন্য আমি কখনই কাউকে জবাবদিহি করবো না। কোনো কর্মকাণ্ডের জন্য কারো কাছে ক্ষমাও চাইব 💮না।’
অভিনেত্রীর এমন মন্তব্যের কারౠণ- বিভিন্ন সময়ই তার মসজিদ, কিংবা মন্দিরে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেন সমালোচকর💛া। মন্দিরে গেলে একদল মানুষ সারার শাস্তি দাবি করেন, আবার মসজিদে গেলে তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন। তাদের জবাবেই সারার এই অবস্থান।
সারাকে প্রায়সময়ই ধর্মীয় স্থানে দেখা যায়। নিজের ধর্মীয় যাত্রার নানা মুহূর্তই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন তি🐭নি। মন্দির হোক বা মসজিদ, সব কিছুতেই বিশ্বাস আছে সারার। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘এটা আমার পছন্দ। আমার ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই কারো।’
সাইফকন্যা আরও বলেন, ‘আমি একটি ধর্মনিরপেক্ষ, সার্বভৌম এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। আমি কখনও অন্যায় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার প্রয়োজন অনুভব করিনি। কারণ আমি অযথা কথা বলায় বিশ্বাস করি না। কিন্🌃তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস আছে। সুতরাং, যদি এমন ঘটনা শুধু আমার সঙ্গে নয়, আমার চারপাশের লোকদের সঙ্গেও হয়, তা🐽হলে আমি অবস্থান নেব।’