জনপ্রিয় মডেল, অভিনেত্রী সোহানা 💖সাবা। ছোট পর্দা, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কিংবা বড় পর্দায় তিনি অভিনয় করছেন সমান তালে। তাকে নিয়ে এই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিজের অবস্থান নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে নিদারুণ কটাক্ষের শিকার হলেও সাবা কখনই কোনো বিষয়ে নিজের মতপ্রকাশ থেকে বিরত থাকেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবসময় তার সরব উপস্থিতি। প্রায়ই নিজের মনোভাব প্রকাশ🦋 করেন ফেসবুকের মাধ্যমে।
এবার রোববার (২০ অক্টোবর) একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেন নন্দিত এই অভিনেত্রী। যেখানে তিনি লেখাটা শুরু করেছেন সদ্যপ্রয়াত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোরকে নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবা লিখেছেন ‘মনি কিশোর নামে একজন গায়ক মারা গেছেন আজ সকালে জানতে পারলাম। তার গানগুলো শুনে শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু তিনি যে বেঁচে আছেন বা কোথাও আছেন সে সম্পর্কে কখনো কোনো কৌতূহল তৈরি হয়নি। তার মতো একজন 🦩গুণী গায়ক সে রকম কোনো সুযোগ-সুবিধা চেয়েছেন বা পেয়েছেন বলেও আমার জানা নেই। ভালো হয়েছে যে তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন।’
শিল্পীকে নিয়ে সাবা আরও লিখেছেন তিনি যদি সবার সামনে থাকতেন, অনেক শিল্পীর জন্য অথবা অনেক অযোগ্য শিল্পীর জন্য তিনি থ্রেট হিসেবে থাকতেন! তখন সে অশিল্পীরা বা অযোগ্য লোকেরা এসে কোনো একটা দুর্বলতার মুহ😼ূর্তে বলে উঠতেন— ওর কি কোনো বেল আছে? ও কি শিল্পী হওয়ার যোগ্য? একটা-দুইটা গান গেয়ে ফেমাস হয়ে নিজের শিল্পী হিসেবে সত্তাকে বেচে দไিয়েছেন!
বৃহন্নলার এই অভিনেত্রী বলেন, “কদিন আগে একটা চমৎকার পর্যালোচনা পড়ছিলাম, কী করে একটি অপ্রতুল দ্বীপে বড় মাংসাশী প্রাণীগুলো সাইজে ছোট হ⭕তে থাকে এবং কী করে ছোট প্রাণী যেমন টিকটিকি-গিরগিটি সাইজে বড় হতে থাকে। কী করে আমাদের দেশে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতো পণ্ডিত ব্যক্তি থাকতে কিছু মাথামোটা মানুষ সবার জাতীয় পণ্ডিতে পরিণত হয়! কী করে চমৎকার কিছু সিনেমায় চমৎকার༒ অভিনয়ের পরেও কিছু মানুষ নিজের নামের পূর্বে ‘হিরো’ লাগিয়ে জাতীয় হিরোতে পরিণত হয়।”
সোহানা সাবা বলেন, “ডিজিটাল যুগে ভুলভাল কাণ্ড করে অথবা সেলিব্রিটিদের সঙ্গে নিজের পিআর বাড়িয়ে নিজেদের সেলিব্রিটি ভাবলেই কি আপনি সত্যিকারের শিল্পীඣ হয়ে উঠলেন? একবার ভাবুন মাথাটা খাটান। আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন। অবশ্য মাথা এবং আয়না পরিষ্কার থাকলে পরিষ্কার দেখতে পাবেন, নাহলে কিছুই দেখতে পাবেন না। এই ভুল ধারণা নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেবেন।”
সোহানা সাবা ২০০৪ সালে প্রয়াত অভিনেত্রী ও নির্মাতা কবরীর ‘আয়না’ চলচ্চিত্রে পা রাখেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা ‘খেলাঘর’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘প্রিয়তমেষু’, ‘বৃহন্নলা’ ও ‘ষড়রিপ𒈔ু’ ইত্যাদি।