মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৬ টায় মারা গেছেন অভিনেত্র𒀰ী সীমানা। হাসপাতালে ১৪ দিন মৃত্য𓄧ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চলে গেলেন তিনি। সন্ধ্যায় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার পারিবারিক গোরস্থানে সীমানার দাফন সম্পন্ন হবে।
এদিকে দুপুর ১২:১৫ মিনিটে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে মডেল অভিনেত্রী সীমা🦋ন🐻ার প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে মাকে শেষবারের মতো দেখতে ছটফট করছিল সীমানার ৭বছর বয়সী শিশুপুত্র শ্রেষ্ঠ। বারবার ছুটে যাচ্ছিল মায়ের মুখ খানি দেখতে।
লাশবাহী ফ্রিজ ভ্যান যখন চ্যানেল আইতে প্রবেশ করে তখন শ্রেষ্ঠ তার ছোটভাই স্বর্গকে বললো, চল স্বর্গ মাকে দেখ🌊ি, মা চলে আসছে।
কিন্তু দূর থেকে অবুঝ দুটি শিশু বোঝেনি তাদের মা আর ফিরে ফিরবে না। শ্রেষ্ঠ বলছিল, মা আমাকে অনেক ভালোবাসতো, আমিও মাকে অনেক ভালোবাসতাম। আমার জন🐻্য সবাই দোয়া করবেন। আমার মায়ের অনেক ইচ্ছা ছিল আমাকে ক্যাডেটে পড়ানোর। কিন্তু মা তো চলে গেল। আমার মায়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
একটু দূরে সীমানার মা নাট্য পরিচালক সালাউদ্দিন লাভলুকে জড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, আমার মেয়ে এতো অল্প বয়সে চলে যাবে ব♓ুঝতে পারেনি। এতো কম বয়সে কেউ এভাবে যেতে পারে। তারপরে মেয়ের ছবি ধরে অঝোরে কেঁদে উঠেন।
সালাউদ্দিন লাভলু বলেন, এক✃মাস আগে আমাকে ম্যাসেজ করেছিল আবার কাজে ফিরতে চাই বলে। আমি বলেছিলাম, এখন নতুন কাজ করছিনা, নতুন কিছু হলে জানাবো। আর জানানো হলোনা। তার আগেই চলে গেলো।
অভিনেত্রী সীমানা ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উঠে আসা এক অভিনেত্রী। তার পরিচিতি এনে দেয় সালাউদ্দিন লাভলু পরিচালিত ‘🐎সাকিন সারিসুরি’ নাটক। এছাড়া তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’-এও অভিনয় করেন সীমানা।