ঈদে মুক্তি পেয়েছিল ফারহান আহমেদ জোভান অভিনীত নাটক ‘রূপান্তর’। সেমাবার (১৫ এপ্রিল) এটি ইউটিউবে মুক্তি পায়। এরপরই ‘ট্রান্সজেন্ডার’ ইস্যুতে নেটিজেনদের একাংশের সমালোচনার মুখে পড়ে রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এই নাটক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের মন্তব্যঘরে পড়তে থাকে একের পর এক আক্রমণাত্মক সব কমেন্টস। এমন অবস্থায় ইউটিউব থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় নাটকটি।
অন্যদিকে জোভানের ফেসবুক পেজটিও এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না ফেসবুকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সামিরা খান মাহির পেজও পাওয়া যায়নি। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন তিনিও।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে জোভানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল ও টেক্সট করা হলেও সাড়া দেননি তিনি। তবে সামাজিকমাধ্যমে তাকে অপদস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রাণনাশের হুমকির মতো কোনো হুমকি আমি পাইনি। ত♉বে ফোনে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাকে অপদস্থ করা হচ্ছে।”
নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন অভিনেতা। তিনি বলেন, “আমি জেনেশুনেই নাটকটিতে অভিনয় করেছি। আমি এর মধ্যে ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাতের কিছু পাইনি। আইন বা সামাজিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কোনো কিছু আছে বলে আমার কাছে মনে হয়নি। আমার কাছে গল্পটি গতানুগকিতার বাইরে মনে হয়েছে।”
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিনভরই আলোচনা-সমালোচনা চলেছে নাটকটি নিয়ে। তবে এর বিষয়বস্তু নিয়ে অভিযোগ যাচাইয়ের আগেই এটি প্রকাশের পরদিনই ইউটিউব থেকে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়। নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু জানান, নাটকটির গল্পটি মূলত একজন তরুণ চিত্রশিল্পীকে কেন্দ্র করে। শৈশবে য𝔉িনি ট্রেন দুর্ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন। এ কারণে সে জানতে পারেন না তার বাবা-মা কে কিংবা কোন ধর্মের মানুষ। বড় হয়েছেন অনাথ আশ্রমে। খ্যাতি পেয়েছেন চিত্রকর হিসেবে। আঁকায় মুগ্ধ হয়ে তার প্রেমে পড়েন একজন ধনীর দুলালি। বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয় এই চিত্রশিল্পীকে। কিন্তু ওই চরিত্রটি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাকে দিয়ে বিয়ে সম্ভব নয়। এরপর তার চিকিৎসকের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি আসলে একটি হরমোনজনিত বিরল রোগে ভুগছেন। দেখতে পুরুষের মতো হলেও ঘটনা ভিন্ন।