একদম অল্প বয়সেই টলিউডে কাজ করতে আসেন। ছোট বয়সেই সাফল্য ধরা দেয়। স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ তাকে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে 𓆏দেয়। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় একেবারে 🐎বড় পর্দার নায়িকা হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন।
তবে সেখানেই আসে ভয়ংকর বাধা। কাজের নামে তাকে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়। তাও আবার টলিপাড়ার এক নামি প্রযোজকের হাতে। ভয়ে চুপসে যেতে হয় তাকে। কারণ, তখন পায়ের তলার মাটি শক্ত𓆏 ছিল না। তাই কিছুই করতে পারেননি।
বলছিলাম, টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর কথা। সেই কুৎসিত স্মৃতি তাকে তাড়া করে বেড়িয়েছে বহুদিন। তবে আর নয় এবার মুখোশ খোলার পালা। এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। নিজের জমি শক্ত করেছেন ঋতাভরী। শুধু টলিউডেই নয়, বলিউড থেকে দক্ষিণী ছব♔ি পর্যন্ত যাতায়াত বেড়েছে তার।
তবে কাউকে কলঙ্কিত করা তার উদ্দেশ্য নয়। বরং কাজের নামে অভিনেত্রীদের যৌন হেনস্থা করার প্রবণতা সমূলে উৎপাটিত করতেই ঋতাভরী এবার দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রীর। সম্প্রতি মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্থার ঘটনা ন💖িয়ে ‘হেমা কমিশন’ রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানকার খ্যাতনামা অভিনেত্রীরা এগিয়ে 𝓡এসে নির্যাতনের কথা প্রকাশ্যেও এনেছেন। সেই তালিকায় এসেছে ঋতাভরীর নামও।
ঘটনার শুরু কলকাতা শহরে যখন আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে দিনের পর দিন প্রতিবাদ চলছ𓆏িল তখন। সে সময়েই এক প্রতিবাদ🔯 মিছিলে ঋতাভরী দেখতে পান যৌন হেনস্থাকারী সেই প্রযোজককে। এরপর আর চুপ করে থাকতে পারেননি। টলিপাড়ায় হেমা কমিটির আদলে কমিটি তৈরির প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েছেন ঋতাভরী।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে সমাজমাধ্যমে ঋতাভরীর পোস্ট দেখে ফোন করে সবটা জানতে চেয়েছেন👍। যে কারণে আস্থা বেড়েছে অভিনেত্রীর। ঋতাভরী জানান, টলিপাড়ার সবটাই অন্ধকার নয়। বেশ কিছু পরিচালক রয়েছেন, যাদের সঙ্গে কাজ করে তিনি সুরক্ষিত বোধ করেছেন। যে তালিকায় রয়েছেন মৈনাক ভৌমিক, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তীর মতো পরিচালকেরা।
ঋতাভরী বলেন, “আমি দুশ’ শতাংশ নিশ্চিত যে রাজ, শিবুদ🌟া, মৈনাক এদের নিয়ে কখনই কোনো হেনস্থার কথা ভবিষ্যতে শোনাও যাবে না।” তবে অভিনেত্রী চাইছেন, টলিপাড়ায় নায়িকাদের পণ্য হিসাবে দেখার যে চল রয়েছে, সেটাই বন্ধ হোক।
ক্যারিয়ারের বিরক্তিকর কিছু ঘটনা নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ঋতাভরী। জানান, ক্য🐎ারিয়ারের শুরুর দিকে বেশ কিছু বিরক্তিকর ঘটনা ঘটে। একটা মিটিং করতে যাই টলিপাড়ার এক খ্যাতনামা প্রযোজকের সঙ্গে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও গায়ে হাত দেন তিনি। চেঁচিয়ে বেরিয়ে যাই সেখান থেকে। তিনি হাত ধরার পর থেকে নিজেকে নোংরা লাগছিল। আমি মাকে পর্যন্ত বলতে পারিনি।
ঋতাভরী বলেন, “তখন খালি মনে হত, আমি ভুল করেছি। আমি কেন গেলাম মিটিংটাতে। আসলে পায়ের তলার মাটি শক্ত ছিল না। ভয়ে ছিলাম তখন। এত বড় প্রযোজক। মুখ খুললে আমাকেই শেষ করে দেবেন হয়তো। আমি ওই ঘটনায় স্থাণু হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমি শতরূপা সান্যালের মেয়ে। অত সহজ♉ে হজম করে উঠতে পারিনি।”