ভারতের হায়দরাবাদে পদপিষ্ট হয়ে রেবতী নামে এক নারীর মৃত্যুর মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন সুপ🐎ারস্টার আল্লু অর্জুন। জেল থেকে বের হয়ে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে প্রথম পোস্ট করেন দক্ষিণ বারতের এই সুপারস্টার। এই পোস্টে রেবতীর ছেলে শ্রীতেজের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন নায়ক।
গত ৪ ডিসেম্বর রাতে হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ার চলাকালে রেবতীর মৃত্যুকে ঘিরে অভিযুক্ত হিসেবে আল্লুর নাম উঠে এসেছে। এদিন রাতে রেবতী পদপিষ্ট হয়ে মারা গেছেন। তার ৮ বছর🉐ের ছেলে শ্রীতেজ এই রাতে গুরুতর আহত হয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছেলেটির শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তা🉐কে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
হায়দরাবাদের কেআইএমএস কাডলস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটি। এক বিবৃতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,ꦺ পদদলিত হওয়ার ঘটনায় গুরুতর আঘাতের কারণে ৮ বছরের শিশুটিকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার নিউরোলজিক্যাল অবস্থার উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না; তবে জ্বর কমেছে।
হায়দরাবাদ সিটি পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। মূলত,পদদলিত হয়ে ꦉশিশুটির মায়ের মৃত্যুর মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমকে সিভি আনন্দ বলেন— “শিশুটির ব্রেইন ডেড।”
গত ৪ ডিসেম্বর রাতে হায়দরাবাদের সন্ধ্যা সিনেমা হলে ‘পুষ্পা টু’ এর বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে আল্লু অর্জুন উপস্থিত থাকার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে উপচে পড়েন তার ভক্তরা। শত শত দর্শক ভিড় করলে ভেঙে পড়ে সিনেমা হলের প্রধান ফটক। এতে অনেক মানুষ পদ൲দলিত হন; জ্ঞান হারান ৩৯ বছরের রেবতি ও তার কিশোর পুত্র। দ্রুত তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে রেবতিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটি।
এ ঘটনায় হায়দরাবাদের চিকড়পল্লী থানায় আল্লু অর্জুন, তার নিরা꧅পত্তারক্ষী এবং সন্ধ্যা সিনেমা হলের মালিকের বিরুদ্ধে সেকশন ১০৫ এবং ১১৮ (১) ধারায় মামলা করে রেবতির পরিবার। রেবতির পরিবারের অভিযোগ, আল্লু অর্জুনের আগমনের কোনো আগাম খবর দেওয়া হয়নি। প্রেক্ষাগৃহের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কোনো ব্যবস্ꦐথাও নেওয়া হয়নি।
রেবতির মৃত্যুর পর আল্লু অর্জুন তা⭕র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছিলেন। শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ারও ঘ♔োষণা দেন। ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার নায়িকা রাশমিকা মান্দানাও রেবতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছিলেন।
আল্লু অর্জুন রেবতির পরিবারকে ২৫ লাখ রুপি আর্থিক সাহায্য প্রদানের ঘোষণাও দেন। কিন্তু রেবতির মৃত্যুর ৯ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হন আল্লু অর্জুন। একদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হন এই নায়ক। তথ্যসূত্র: দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল