ঢাকাই সিনেমার নায়িকা অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২৪ অক্টোবর এ মামলা করেন তিনি। একই মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা 💧হয়েছে আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম ও জাহিদুল ইসলামকে।
প্রযোজক সিমি ইসলামের দাবি, তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে♛ই সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত পুরো ঘটনাটির তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন তেজগাঁও থানা কর্তৃপক্ষকে। আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সিমি ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত আছেন। তার প্রযোজিত পꩲ্রথম চলচ্চিত্র ‘অপরাধী বাদশা’। এরপর তিনি একে একে প্রযোজনা করেন ‘মাই নেম ইজ সিমি’, ‘তুমি আছো তুমি নেই’ এবং ‘নারী শক্তি’ ছবিগুলো। বর্তমানে তাঁর প্রযোজিত আরও দুটি ছবির কাজ চলছে। এসব ছবি হচ্ছে ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’ এবং 𒅌‘ভুল মানুষ’।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর আগস্টে বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন মিলে সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও ফিরিয়ে দেননি অপু বিশ্বাস। তাই বাধ্য হয়ে চলতি বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখ লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি, যেখানে অভিযুক্ত করা হয় অপু ও আপনকে। বিষয়টি জানতে পেরে মধ্যস্থতাকারী ♌হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বাদীর কাছে। জানানো হয়, অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এটি চাওয়া হয়েছে। দর-কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় বিবাদী হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন বাদী সিমি ইসলাম। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তাঁরা। কিন্তু বাদী দেখতে পান, তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে থাকা ভিডিওগুলো নেই। বিষয়টি অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান সিমি। কিন্তু তাঁরা ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে কালক্ষেপণ করেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতেও কথা বলা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায় বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিমি।
মামলা প্রসঙ্গে সিমি ইসলাম বলেন, ‘এই চ্যানেলটি নিয়ে বহুদিন ধরেই আমি অপুর কাছে গিয়েছি। চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে বহুবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমি খসরু (প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু) ভাইকেও বলেছি। তিনিও আমার হয়ে অপুর সঙ্গে কথা বলেছেন। তার কথাও তিনি রাখেননি। এর মধ্যে একদিন হিরো আলম আমাকে ফোন করে বলেন, তিনি বিষয়টি সমাধান করে দেবেন। তার কথায় আমি রাজি হলে তিনি অপুর সঙ🍌্গে কথা বলবেন। আমার মনে হয়, অপুই তাঁকে ফোন দিতে বলেছেন আমাকে। এরপর টাকার বিনিময়ে চ্যানেলটি ফিরে পেলেও ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি হিরো আলমকে জানালে তিনি বলেন, দেখছি কী করা যায়। এরপর আর তার কোনো খবর নেই।’