নব্বই দশকে এমন কোনো কিশোর-তরুণকে পাওয়া যাবে না, যারা “কী ছি🥀লে আমার, বলো না তুমি...।” গানটি একবার হলেও শোনেননি। শুধু কি তাই, “সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার...”, “তুমি শুধু আমারই জন্য...’, “মুখে বলো ভালোবাসি...”, “আমি মরে গেলে জা🐽নি তুমি কাঁদবে না...।” গানগুলো ফিরত তরুণদের মুখে মুখে।
দারুণ জনপ্রিয় এসব গানের অডিও সে সময় সারা দেশের আনাচে কানাচে রাতদিন বেজে চলছিল। অথচ তরুণদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় এসব গানে শিল্পী মনি কিশোর হঠাৎ কোথায় যেন চলে যান। গত🍒 এক দেড় দশক ধরেই ছিলেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। শেষ দিকে এমনও হয়েছে যে, কেউ যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে সেজন্য নিজের ব্যবহার করা পুরোনো মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ করে রাখতেন।
এভাবে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতে থাকতে চিরদিনের জন্যই অন্তরালে চলে গেছেন মনি কিশোর। রাজধানীর রামপুরা টিভি ভবনের পাশে একটি ভাড়া বাসায় একা থাকতেন। শনি👍বার (১৯ অক্টোবর) রাতে সেই বাসা থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা তার মরদেহ উদ্ধার করেছেন।
মনি কিশোরের মৃত্যুর পর তার বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ♈ কর্๊মকর্তা অশোক কুমার মণ্ডলের কাছ থেকে জানা গেল তার অনেক তথ্য। নব্বই দশকের শুরুতেই বিয়ে করেছিলেন মনি কিশোর। তবে আজ থেকে দেড় যুগ আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়।
বিয়ের সময়ই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মনি কিশোর। সে হিসেবে তার মরদেহের দাফন করা হবে বলে জানালেন ভাই অশোক কুমার। তিনি আরও জানালেন, মনি কিশোর বেঁচে থাকা অবস🎶্থায় তার দাফনের বিষয়টি একমাত্র মেয়ে নিন্তিকে জা🐻নিয়েছিলেন।
মনি কিশোরের বড় ভাই আরও বলেন, “মেয়ে আমার বড় ভাইকে জানিয়েছে, তার বাবাকে যেন দাফন করা হয়। এটা নাকি ওর বাবা ওকে বলে গিয়েছিল। মেয়েকে যেহেতু বলে গিয়েছে, তাই🔥 তার ইচ্ছামতো দাফনের কাজটাই করা হবে। এটা নিয়ে আমরা অন্য কোনো ধরনের সিদ্ধান্তে যাব না।”
কোথায় দাফন করা হবে এ ব্যাপারে অশোক কুমার জানান, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এরপর তারাই সিদ্ধান্ত নেবে, কোথায় মরদেহ দাফন করা হবে। তবে মনি কিশোরের মেয়ে দাবি করেছে, ওর বাবাকে যেখানে কবর দেওয়া হচ্ছে, সেখানে যেন একটা চি💫হ্ন রাখা হয়।