🦩জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনম। এক সময়ের দর্শকদের হৃদয়ের রানি। সর্বশেষ তাকে পর্দায় দেখা গিয়েছিল কাজী হায়াত পরিচালিত ১৯৯৯ সালে মুক🧜্তিপ্রাপ্ত ‘আম্মাজান’ সিনেমায়। এরপর দীর্ঘ বিরতি। তবে অবসর নয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) নন্দিত এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। আজ ৭৭-এ পা রাখ𒁃ছেন শবনম। ১৯৪৬ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পারিবারিক নাম ঝর্ণা বসাক।
এবারের জন্মদিন নিয়ে শবনম বলেন, জন্মদিন এখন আর পালন করার ইচ্ছা হয় না। কারণ প্রতিটি🧔 দিনই মনে হয় মৃত্যুর কাছে চলে যাচ্ছি।
সবশেষ শবনমকে নায়ক মান্না অভিনীত ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রে দেখা গেছে। এরপর তাকে আর চলচ্চিত্রে দেখা𒉰 যায়নি। ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে চলচ্চিত্র থেকে গুটিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন।
ওই সময় শবনম বলেছিলেন, ‘আম্মাজ༺ান’ করার পর উপযুক্ত চরিত্রের অভাবে ক্যামেরারဣ সামনে দাঁড়ানো হয়নি। ইচ্ছে থাকলেও একই সঙ্গে মনের মতো চিত্রনাট্য ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আর কাজ করা হয়নি।
সেখানে ত⭕িনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ অভিনয় জীবনে আপনাদের যে ভ🗹ালোবাসা পেয়েছি তাতে আমি কৃতজ্ঞ। জীবনে অনেক অপ্রাপ্তি থাকলেও বহুদিন পর সিনেমার মানুষের কাছে এসে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে চিরঋণী হয়ে থাকব।’
সিনেমায় আসার আগে থেকেই ﷽নাচের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। এহতেশাম পরিচালিত ‘এদেশ তোমার আমার’ ও ‘রাজধানীর বুকে’ সিনেমায় নৃত্যশিল্পী হিসাবে কাজ করেন। এরপর একই পরিচালকের ‘হারানো দিন’ সিনেমায় নায়িকা হিসাবে তার অভিষেক ঘটে। পরে ‘চান্দা’, ‘তালাশ’, ‘নাচের পুতুল’, ‘সন্ধি’, ‘শর্ত’, ‘সহধর্মিণী’, ‘যোগাযোগ’, ‘জুলি’, ‘বশিরা’, ‘দিল’সহ আরও অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন।
শবনম চলচ্চিত্রে যুক্ত হয়েছিলেন ১৯৫৮ 🐷সালে। ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন শবনম। এরপরের বছর উর্দু সিনཧেমা ‘চান্দা’য় অভিনয় করে পাকিস্তানে তারকাখ্যাতি পান তিনি।
শবনম বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করলেও দীর্ঘ সময় অভিনয় করেছেন পাকিস্তানের সিনেমায়। পাশাপাশি এ অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রেও। পাকিস্তানের সিনেমায় তার অবদান এতোটাই যে সেখানকার মহানায়িকা ﷺবলা হয়ে থাকে শবনমকে। তার অভিনয়ের গুণে দেশটির চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার নিগার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ♔১৩ বার।
ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে শবনম পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। সেখানে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত একচ্ছত্র বিস্তার করেছিলেন তিনি। হয়তো বিশ্বে তিনিই একমাত্র অভিনেত্রী যিনি ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ এ🏅র দশক পর্যন্ত তিন দশক ধারাবাহিকভাবে একটি ইন্ড্রাস্টিতে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিলেন।
এ সময়কালে পাকিস্তানে শবনম-ওয়াহিদ মুরাদ, শবনম-নাদিম জুটি জনপ্রিয় ছিল। পরবর্তীকালে প𒊎াকিস্তানে বসবাস শুরু করায় পাঞ্জাবি স♒িনেমাতেও অভিনয় করেন এ অভিনেত্রী।
ষাটের দশকে তার অভিনীত ‘তালাশ’ সিনেমা পাকিস্তানে মুক্তি পেলে ওই সময়ের সর্বাপেক্ষা ব্যবসা সফল সিনেমার মর্যাদা লাভ করে। এছাড়া তার অভিনীত ‘আয়না’ সিনেমা পাকিস্তানের সিনেমা হলগুলোতে 💛দীর্ঘদিন চলার রেকর্ড করে।
১৯৮৮ সালে পুনরায় ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন শবনম। আর নব্বইয়ের দশক থেকে স🎉্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় বসবাস করছেন।