• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সংগীত শিল্পী বারী সিদ্দিকীকে হারানোর ৭ বছর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
সংগীত শিল্পী বারী সিদ্দিকীকে হারানোর ৭ বছর
সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত

উপমহাদেশের বিখ্যাত বংশীবাদক ও সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দিকীকে হারানোর ৭ বছর পূর্ণ হলো রোববার (২৪ নভেম্বর)। ২০১৭ সালের আজকের দিনেই সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। তার কণ্ঠ শহর পেরিয়ে গ্রাম, সবখানে ছড়িয়ে গিয়েছিল। বারী সিদ্দিকীর গানের সুর খ🦩ুব সহজেই গেঁথে যেত মানুষের হৃদয়ে।

বারী সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন । মাত্র ১২ বছর বয়সে নেত্রকোণার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণী শিল♊্পীর সান্নিধ্য লাভ করেন তিনি। ভারত থেকেও গানের তালিম নি🀅য়েছেন তিনি। পাশাপাশি বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গসংগীতেও প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন প্রয়াত এই গায়ক।

বংশীবা🉐দক বারী সিদ্দিকী ১৯৮০ সাল থেকে টানা দুই দশক বাঁশি বাজিয়ে বিশ্ব জয় করেছেন। তিনি যখন বাঁশি বাজাত♈েন, সামনে থাকা শ্রোতা-দর্শকদের হৃদয় শীতল হয়ে চোখের সীমানা বেয়ে জলের ঢল নামতো।

১৯৯৯ সালে জেনেভায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাঁশি সম্মেলনে গোটা ভারতী💫য় উপমহাদেশ থেক একমাত্র প💎্রতিনিধি হিসেবে বারী সিদ্দিকী অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটানা ৪৫ মিনিট বাঁশি বাজিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সবাইকে। অসাধারণ সেই পরিবেশনায় বিশ্ব শ্রোতা-দর্শকদের মুগ্ধ করেন তিনি। এরপর দেশ-বিদেশের বহু অনুষ্ঠানে বাঁশির সুরে হৃদয় স্পর্শ করেছেন এই শিল্পী।

গায়ক হিসেবে বারী সিদ্দিকী পরিচিতি পান নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহম🍨েদের মাধ্যমে। তার পরিচালিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’সিনেমায় গান করেই দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা পান তিনি। দেশে একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, হুমায়ূন আহমেদ আমার গাওয়ার পেছনে যথেষ্ট উৎসাহ দিয়েছিলেন। মূলত তার সাহস নিয়েই সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পেয়েছি।

এরপর বেশ কিছু অ্যালবাম প্রকাশিত হয় বারী সিদ্দিকীর। এর মধ্যে রয়েছে- ‘দুঃখ রইলো মনে’, ‘অপরাধী হইলেও আমি তোর’, ‘সরলা’, ‘ভাবের দেশে চলো’, ‘সাদা রুমাল’, ‘মাটির মালি꧃কানা’, ‘মাটির দেহ’, ‘মনে বড় জ্বালা’, ‘প্রেমের উৎসব’, ‘ভালোবা🍌সার বসত বাড়ি’, ‘নিলুয়া বাতাস’ ও ‘দুঃখ দিলে দুঃখ পাবি’।

বারী সিদ্দিকীর গাওয়া কালজয়ী গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘শুয়া চান পাখি’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘সাড়ে তি🍌ন হাত কবর’, ‘রজনী’, ‘আমি একটা জিন্দা🤡 লাশ’, ‘পুবালি বাতাসে’, মানুষ ধরো মানুষ ভজো’ ও ‘আমার মন্দ স্বভাব জেনেও’ ইত্যাদি।

Link copied!