নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন ও সংরক্ষণসহ ক্রমবর্ধমান ড্রেজিং চাহিদা মেটাতে সারাদেশে ১১টি ড্রেজিং বেইজ করার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণাঞ্চলের নদীপথ সচল ও নিরাপদ রাখার জন্য বরিশালেও ড্রেজার বেইজ নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে ড্রেজার সংরক্ষণ থাকবে। কোথায় নাব্যতা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ড্রেজি♔ং করা হবে। পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোকে দূষণ ও দখলমুক্ত করা হবে।”
সোমবার (২৩ মে) দুপুরে বরিশাল নগরীর বান্দ র😼োডের কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে অবস্থিত বরিশাল ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বরিশাল ড্রেজার বেইজের ফলে বরিশাল এলাকাসহ ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকার নৌপথ খননে তদারকি সহজতর ඣহবে।
বরিশালের বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বরিশালের সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, “একসময় মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা শুনলে হাসি-তামাশা করত। এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল থেকে সুপার ডিজিটাল হয়েছ♈ে। এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে আইটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণে।”
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলের নদী পথ সচল ও নিরাপদ রাখার জন্য বিভিন্ন ধরণের🧸 যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, যা নিষ্ঠার সাথে বাস্তবায়ন করছে বিআইডব্লিউটিএ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা বক্তৃতা দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটির চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, বিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ক্রাইম এন্ড অপস মো. এনামুল হক বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ🎀ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার (রাজস্ব) শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন, বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু।
বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন ও সংরক্ষণসহ ক্রমবর্ধমান ড্রেজিং চাহিদা মেটাতে♐ বিআইডব্লি🔜উটিএ-এর উদ্যোগে ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা খরচে বরিশাল ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে ৬ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন, ৫ তলা বিশিষ্ট স্টাফ ডরমিটরি, রাস্তা, সীমানা প্রাচীর, মসজিদ, গভীর নলকূপ, সারফেস ড্রেন, স্টিল গ্যাংওয়ে, স্পাড, আরসিসি র্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু হলেও শেষ হয় ২০২১ সালের ২৯ জুন।
