শরীয়তপুরের নড়িয়ায় সা💧বেক স্ত্রীর ব🐈িয়ের খবর পেয়ে রাব্বি মাদবর (২৪) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (৩ জুন) 🤪রাতে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাব্বি মাদবর ওই এলাকার মামুন মাদবরের ছেলে।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে একই এলাকার মিয়া চানের মেয়ে মিম আক্তারের (১৮) সঙ্গ🃏ে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন রাব্বি। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। যার কারণে ৬ মাস আগে মিম তার বাবার বাড়ি গিয়ে রাব্বিকে তালাকনামা পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তালাকের পরও তাদের মধ্যে যোগাযোগ হতো।
সোমবার দুপুরে মিম তার নতুন বিয়ের খবর রাব্বিকে জানান। এরপর থেকেই সে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পরলে বাড়ির পাশে বাগানের মধ্যে পরিত্যাক্ত ঘরে গিয়ে মীমের ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস নেন রাব্বি। সকালে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাচ্ছিলেন না। পরে বাগানের ওই পরিত্যাক্ত ঘরে গিয়ে রাব্বির মরদেহ ঝুলতে দেখেন। এরপর স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের🍒 জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।
রাব্বির মা মমতাজ বেগম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমার ছেলে ভালোবেসে মিমকে বিয়ে করেছিল। কিন্তু ওদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লাগত। ছয় মাস আগে মিম আমার ছেলেকে ছেড়ে চলে যায়। আমা😼র ছেলে মিমকে খুব ভালোবাসত। গতকাল মিম কল দিয়ে রাব্বিকে তার বিয়ের খবর বলে। আমার ছেলে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মিমের ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার💎 চাই।”
রাব্বির বাবা মামুন মাদবর বলেন, “সকালে উঠে আমি রাব্বিকে ওর রুমে না পেয়ে খুঁজতে থাকি। পরে বাগানের ঘরে গিয়ে 💙দেখি ওর মরদেহ ঝুলছে। আমার ছেলে মিমের কারণে আত্মহত্যা করেছে।🌠 আমি ওর বিচার চাই।”
এ ব্যাপারে মিম আক্তার বলেন,𝔉 “বিয়ের পর রাব্বি আমাকে প্রচণ্ডভাব෴ে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করত। আমার শরীরের মধ্যে নির্যাতনের অসংখ্য দাগ রয়েছে। পরে বাধ্য হয়ে আমি তাকে তালাক দিয়ে দেই। তালাকের পর তার সঙ্গে আমার আর যোগাযোগ হয়নি। আমি কিছুই জানি না।“
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ প🍌্রকাশকে বলেন, “বাগানের ভেতর একটি ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়꧋নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।”