• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


আজ চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৩, ০৯:১৩ এএম
আজ চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস
প্রতীকী ছবি

আজ ৭ ডিসেম্বর, চুয়াডাঙ্গা মুক্ত꧋ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারত সীমান্ত ঘেঁষা চুয়াডাঙ্গা জেলা হানাদার মুক্ত হয়। এদিন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর তুমুল প্রতিরোধের মুখে পাক-হানাদার বাহিনী এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে♛ পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা অভিমুখে পালিয়ে যায়। এরপর হানাদারমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা।

মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার অবদান অবিস্মরণীয়। প্রথম রাজধানী হিসেবে নির্ধারিত হয় চুয়া💝ডাঙ্গা। তারিখও নির্ধারিত হয় এপ্রিলের ১০। খবরটি আগেভাগেই জানাজানি হয়ে যাওয়ার ফলে কৌশলগত কারণে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলায় প্রথম রাজধানী হয় এবং প্রবাসী সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর জেলার জীবননগর শহরে পাক-হানাদার বাহিনীর পতন ঘটলেও চূড়ান্ত বিজয় আসে ৪ ডিসেম্বর। এদিন ভোরে ভারতীয় মিত্র বাহিনী🌄র কমান্ডার মেজর দত্ত ও বর্ম্মা এবং ৮ নম্বর সেক্টরের বানপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী যৌথভাবে জীবননগরের ধোপাখালী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রবেশ করে জী𒆙বননগর, দত্তনগর, হাসাদহ সন্তোষপুর, রাজাপুর, ধোপাখালী ও মাধবখালীতে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর অতর্কিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।

এ সময় রাজাপুর ও মাধবখালী সীমান্তে সম্মুখ সমরে শাহাদত বরণ করেন হাবিলদার আব্দুল গফুর, নায়েক আব্দুল মালেক, আব্দুর রশিদ, সিপাহি সিদ্দিক আলী, আব্দুল আজিজ 🧸ও আবু বকর। যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর ২৯ বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা যৌথ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা ঝিনাইদহের দিকে পালিয়ে যায়।

অপরদিকে, জেলার দর্শনা ও দামুড়হুদা অঞ্চল দিয়ে পাকবাহিনীর ওপর গেরিলা আক্রমণ শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী। এর ফলে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুরোপুরি শত্রু মুক্ত হওয়ার পথ সুগম হয়। এরপর ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহরমুখী মꦗাথাভাঙ্গা নদীর ব্রিজের একাংশ শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয়। যেন মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা অতিক্রম করে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়। এরপর ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুরোপুরি শত্রু মুক্ত হয়।

এদিন স্বতঃস্ফূর্ত মুক্তিপাগল মুক্তিযোদ্ধারღা চুয়াডাঙ্গার মাটিতে প্রথম উত্তোলন করে লাল-সবুজ খচিত স্বাধীন বাংলার পতাকা। শুরু হয় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড। মোস্তফা আনোয়ারকে মহকুমা প্রশাসক করে এখানে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়।

দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গাকে মুক্ত করেন এ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। চুয়াডাঙ্গায় মোট মুক্তিযোদ্ধা এক হাজার ৬৩১ জন। এর মধ্যে যুদ্ধাহꦛত ১৫৬ জন। এ রণাঙ্গনে শহিদ হয়েছেন ১৭ জন মুক্তꦰিযোদ্ধা। এ জেলায় দুইজন বীর প্রতীকও রয়েছেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার এসব সূর্য সন্তানদের সাহসী মোকাবিলা চুয়াডাঙ্গাকে করেছে মহিমান্বিত।

এ কারণে জাতীয় গৌরবের প🎀্র🌠েক্ষাপটে চুয়াডাঙ্গা জেলার নন্দিত অবস্থান ইতিহাসে স্বীকৃত।

এ দিনটি উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।&nbs💧p;

Link copied!