• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


অপহরণের ৫২ দিনেও উদ্ধার হয়নি এসএসসি পরীক্ষার্থী


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
অপহরণের ৫২ দিনেও উদ্ধার হয়নি এসএসসি পরীক্ষার্থী
অপহৃত রূপন্তী সাহা। ছবি : সংগৃহীত

পাবনার ꦗবেড়া উপজেলায়  এসএসসি পরীক্ষার্থী রূপন্তী সাহা (১৬) অপহরণের ৫২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো উদ্ধার হয়নি। বৃহস্পতি🦄বার (১৬ মে) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহৃত পরীক্ষার্থী উদ্ধার হয়নি। 

এর আগে, ২৫ মার্চ ওই পরীক্ষার্থীর বাবা উত্তম কুমার সাহা বাদী হয়ে আমিনপুর থানায় অপহরণ 🐬মামলা করেন। 

অপ♚হৃত রূপন্তী সাহা পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের হরিনাথপুর এসএসডি মডেল হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা দিয়েছে। সে জিপিএ ৪.৮৯ পেয়েছে।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে,  পুরান ভারেঙ্গার হরিনাথপুর গ্রামের উত্তম কুমার সাহার মেয়ে রুপন্তী সাহা হরিনাথপুর এসএসডি মডেল হাই স্কুল থেকဣে এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়। জাতসাখিনী ইউনিয়নের নন্দিয়ারা (বড়বাড়ি) গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আবির নামের একটি ছেলে রুপন্তীকে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে প্রেমের প্রলোভন ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্🃏ন হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়।

রূপন্তী বিষয়টি তার বাবা উত্তম কুমার সাহাকে জানায়। এরপর আবিরের বাসায় গিয়ে বিষয়টি বোঝানো হলে সে তা𒐪র মেয়েকে অপহরণের হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ মার্চ রাত ১টার দিকে ঘর থেকে বাইরে বের হলে রুপন্তীকে আবিরসহ ৭-৮ জন মিলে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাওয়া না গেলে পুলিশের শরণাপন্ন হন তার বাবা। পরদিন ২৫ মা🐽র্চ তিনি আমিনপুর থানায় আবিরসহ ৫ জনের নামে অপহরণ মামলা করেন।

রূপন্তীর 🐎মা ফাল্গুনী সাহা বলেন, “মেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলেও বিষাদে দিন কাটছে আমাদের। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। ছেলের মা ও বাবা এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। পুলিশ আমাদের কোনো সহযোগিতা করছে না। মেয়েকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।” 

বাবা উত্তম কুমার সাহা বলেন, “দীর্ঘ এক মাস ২২ দিন অতিবাহিত হলেও মেয়েকে ফিরে পাওয়া যায়নি। থানায় মামলা করলেও মেয়েকে উদ্ধার করা তো দূরের কথা একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। পুলিশ শুধু আশ্বাস দিয়েই দিয়ে যাচ্ছে। আমি মেয়েকে উদ্ধারে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আমা๊র মেয়ে জীবিত আছে, না মেরে ফেলছে তার কিছুই বলতে পারছি না।”

আমিনপুর থানা♕ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনর রশীদ  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এ ঘটনায় অপহরণ মামলা হয়েছে। অপহৃতকে উদ্ধারে আমাদের অভিযান চলছে। আসামিদেরও গ্♛রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।  এ বিষয়ে পরে জানাতে পারব।”

Link copied!