ভারতের পাহাড়ি ঢলে ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ঈদুল আজহার দিনে ভোগান্তিতে পড়েন মুসল্লিরা। পানিবন্দী অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন। ডুবে গেছে বিভিꦕন্ন পর্যটনকেন্দ্র। বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকে কোরবানির জন্য ক্রয় করা পশু নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে হাঁটু থেকে কোমর পানি থাকায় অনেকেই ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেননি। একই সঙ্গে কুরবানির পশুকে বন্যার পানি থেকে রক্ষা করতে দিশেহারা 💟হয়ে পড়েন অনেকেই।
সোমবার (১৭ জꩵুন) ভোরে সিলেটের বেশ কয়েকটি এলাকায় প্লাবন হওয়ার পর অনেকেই ঈদের নামাজ ও কোরবানি দিতে পারেননি।
সিলেট নগরের মিরাবাজার এলাক🦩ার বাসিন্দা ফারহান আমির জামান বলেন, “আমার এলাকার রাস্তায় সকালে হাঁটু পর্যন্ত পানি ছিল। বাসাবাড়িতেও পানি ছিল। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আমি ঈদের নামাজ পড়তে পারিনি।”
সিল🃏েট নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা আখলাক উদ্দিন বলেন, “আমরা বানের পানিতে আটকা পড়েছি। বাসার নিচতলায় কোমর পানি। কুরবাꦗনির জন্য একটি গরু কিনেছিলাম। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরু বাসার তিনতলার ছাদে নিয়ে তুলেছি। কোরবানি করার সুযোগ নেই।”
সিলেট ন꧃গরীর লালাদিঘির পার এলাকার বাসিন্দা শাহ൲জাহান আজীজ বলেন, “আমার বাড়ির ঊঠানে ও ঘরে পানি। আমরা কোরবানির জন্য পশু কিনেছিলাম। আজ সকালের যে অবস্থা ছিল তাতে কোরবানি দিতে পারিনি।”
একই এলাকার ইমরান আহমদ বলেন, “আমার বাসায় কোমর পানি। রাতের বৃষ্টিতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার পার্শ্ববর্তী এক চাচার বাসায় আমার কোরবানির গরুটি নিয়ে▨ রেখেছি। ওই বাসাটি আমার বাসা থেকে একটু উঁচু স্থানে হওয়ায় কোনমতে গরুটি নিরাপদে রাখতে পেরেছি। নিজের বাসায় কোমর পানি।”
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহক✨ারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোম🌳বার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৭৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৮৬ মিলিমিটার।