কুমিরের আচরণ ও গতিবিধ🃏ি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের ভেতরে ঘুরে বেড়ালেও একটি কুমির বন ছেড়ে মোংল🅠া, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ হয়ে পিরোজপুরে চলে গেছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করমজল বণ্যপ্রাণী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির। তিনি বলেন, “সুন্দরবনের লোনা পানির চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগ🍌ানোর পরে দেখা যাচ্ছে, এর তিন﷽টি সুন্দরবনে ফিরে গেলেও একটি কুমির বহুপথ ঘুরে এখন বরিশাল বিভাগের জেলা পিরোজপুরে ঘোরাফেরা করছে। মাত্র এগার দিনে প্রায় একশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি।”
গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, কুমিরটি বুধ🌺বার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছ꧒ে।
আজাদ কবির জানান, নির্দিষ্ট সময় পর হয়তো আবার সুন্দরবনে ফিরে আসতে পারে কুমিরটি। তবে আপাতত সে তা꧃র নিজের জন্য নিরাপদ পরিবেশ খুঁজছে।
আজাদ কবির বলেন, “সুন্দরবনের কুমির কোথায়, কীভাবে বিচরণ করে তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো গবেষণা হয়নি। সেই কারণেই স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়𒉰ে এই গবেষণাটি করা হচ্ছ𒁃ে।”
গত ১৬ মার্চ স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে কুমিরটি সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে অবমౠুক্ত করা হয়। এর আগে এ কুমিরটিকে ঝালোকা♎ঠি জেলার একটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার কাজটি যৌꦐথভাবে করছে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। তাদের সহযোগিতা করছে জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিআইজেড)।
বিশ্বে পাখি, কচ্ছপ, নেকড়েসহ বিভিন্ন প্রাণির শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে তাদের আচরণ নিয়ে গবেষণার নজীর রয়েছে। তবে বাংলাদেশের কুমির নিয়ে এভাবে গবেষণা এই প্রথম করা হচ্ছে।
গত ১৩ থেকে ১৬ই মার্চের মধ্যে মোট চার💧টি লোনা পানির কুমিরে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়। এই চারটি কুমিরের মধ্যে দুটি পুরুষ ও দুইটি স্ত্রী কুমির।
এদের মধ্যে পুরুষ কুমির জুলিয়েট সুন্♉দরবনের করমজলে অবস্থিত দেশের এক🅺মাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরে ছিল। আর স্ত্রী কুমির মধুকে সম্প্রতি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ির মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।