ফরিদপুরের সালথায় পেঁয়াজক্ষেতের ভেতর দি𓃲য়ে খাল খনন করে ইটভাটায় মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধ🌸ে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. ফরিদ হোসেন। তিনি উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া ছয়আনি গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনে কয়েক বিঘা জমির পেঁয়াজের চারা নষ্ট করে এবং একটি মেহগুনির বাগানের ভেতর দিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার এই খাল খনন করা হয়েছে। এতে ব্যাপকভাবে൩ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, খারদিয়া ছয়আনি আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে বলতলা এলাকা পর্যন্ত পেঁয়াজক্ষেত ও একটি মেহগুনি বাগানের ভেতর দিয়ে ভেকু মেশিন (খননযন্ত্র) দ্বারা একটি খাল খনন করা হয়েছে। ভেকুর তাণ্ডꦫবে নষ্ট হয়েছে কয়েক বিঘা জমির পেঁয়াজের তাজা চারা। উঁপড়ে ফেলা হয়েছে একটি বাগানের কয়েকটি মেহগুনি গাছ। পাশেই কৃষিজম♌িতে খনন করা হয়েছে একটি পুকুর।
স্থানীয় কৃষকর🦩া জানান, খাল খননের মাটি অবৈধ ট্রলি গাড়িতে করে আনা- নেওয়া করায় কোটি👍 টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্থানীয় পাকা সড়কগুলো নষ্ট হয়েছে। ফসলসহ পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হলেও স্থানীয়ভাবে ওই ইউপি সদস্য প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না।
এ বিষয় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. ফরিদ হোসেন বলেন, ‘জনস্বার্থে খালটি কাটা হয়েছে’। তবে সরকারি কোনো প্রকল্পেꦦর মাধ্যমে খাল কেটে মাটি বিক্রি কর𝓰ছেন কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।
যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “এই খাল কাটার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কোনো প্রকল্পের 🎐মাধ্যমে খাল কাটা হচ্ছে না। তবে শুনেছি খ🍒াল কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে।”
এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ওই এলাকার কৃষকদের জমির জলবদ্ধতা নিরসনে তাদের ব্যক্তিমালিকানা জমির ওপর দিয়ে খালকাটা হচ্ছে। তবে জোরপূর্বক কোনো কৃষকের জমির ওপর দিয়ে খাল কাটা হচ্ছে এ রকম কারও পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যﷺবস্থা নেওয়া হবে।